ফুটবলের সহস্র রেকর্ডের বরপুত্র লিওনেল মেসিকে তুলনা করা হয় ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে। নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়েছেন বলেই এলিট ক্লাবে পেলের সারিতে থাকা ম্যারাডোনার সঙ্গে উচ্চারিত হয় তার নামও।
চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে খেলতে নেমেই বিশ্বকাপের পাঁচটি আসরে খেলার অনন্য কীর্তিতে নাম লেখান মেসি। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন মেক্সিকোর সাবেক গোলরক্ষক অ্যান্তোনিও কারবাহাল, ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ এবং জার্মানির মিডফিল্ডার লোথার ম্যাথিউস এবং পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
২০০৬ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলেছিলেন মেসি। এরপর ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮। এবারের বিশ্বকাপটি তার পঞ্চম আসর। আর বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন জার্মানির ম্যাথিউস। এখন পর্যন্ত মেসি খেলেছেন ২০টি। আর ৬টি ম্যাচ খেললেই ম্যাথাউসকে টপকে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন মেসি।
এদিকে, বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি ২১টি ম্যাচ খেলেছেন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। এবারের আসরের গ্রুপ পর্বে বাকি দুটি ম্যাচ খেললে মেসির ম্যাচ সংখ্যা হবে ২২টি। তাতে ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলবেন মেসি। তবে শনিবার (২৬ নভেম্বর) মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলতে নামলেই ম্যারাডোনার সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি।
তবে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হলে সেমিফাইনালে উঠতে হবে মেসির আর্জেন্টিনাকে। সেমি পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলবেন মেসি। গ্রুপ পর্বে ৩টি, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি মিলিয়ে মোট ৬টি। সেমিতে হেরে গেলে তৃতীয়স্থান নির্ধারণীসহ ৭টি ম্যাচ হবে মেসির। অথবা ফাইনালে উঠলেও এই আসরে ৭টি ম্যাচ হয়ে যাবে মেসির। তাতেই বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হবেন তিনি।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। চারটি বিশ্বকাপে ১৭টি জয় আছে তার। বিশ্বকাপে মেসির জয় ১২টি।