১৯৮৬ থেকে ২০২২, ৩৬ বছর ধরে অপেক্ষায় আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। সেই-যে দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার জাদুকরী পারফরম্যান্সে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল আলবিসেলেস্তেরা, এরপর শুধুই একবুক আশা নিয়ে বিশ্বমঞ্চে যাওয়া আর বুকভাঙা কষ্ট নিয়ে ফেরার গল্প। আরও একটা বিশ্বকাপ দুয়ারে। আরও একবার আশায় বুক বেঁধেছেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। ফুটবল জাদুকর লিওনেল আন্দ্রেস মেসির শেষ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা পারবে দীর্ঘখরা ঘোচাতে?
একনজরে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল
সর্বকালের সেরা ফুটবলারের বিতর্কে পেলে ও ম্যারাডোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির নামও প্রায়ই আসে। গত দেড় যুগে জাদুকরী ফুটবল খেলে বিশ্বের তাবৎ ফুটবল ভক্তকে আচ্ছন্ন করেছেন মেসি নামের জাদুতে। কী ব্যক্তিগত, কী দলগত–সম্ভাব্য সব শিরোপাই দখলে তার। কিন্তু যখন প্রশ্ন আসে জাতীয় দলের হয়ে অর্জনের, তখন চোখের সামনে যে রিক্ত এক শিল্পীর চেহারাই ভাসে।
অবশেষে ২০২১ কোপা আমেরিকায় ঘুচল সে খরা। কোপা আমেরিকার ফাইনালে স্বাগতিক ব্রাজিলকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ পান ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। তবে বিশ্বকাপ তো বিশ্বকাপই।
বিশ্বকাপের কাছাকাছি গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেও রিক্ততায় মুষড়ে পড়তে হয়েছে মেসিকে। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও শিরোপা উৎসব করা হয়নি আর্জেন্টিনার। ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে শিরোপা জেতে জার্মানি।
ব্রাজিলের পর রাশিয়া বিশ্বকাপেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে আলবিসেলেস্তেদের। দুর্ভাগ্যটা তাড়া করে ফিরেছে সেবারও। তাইতো গ্রুপপর্বে বাজে পারফরম্যান্সের খেসারত দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পড়তে হয়েছে দুর্দান্ত ফ্রান্সের সামনে। সে লড়াই ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় মেসি-মারিয়াদের।
ব্রাজিল বা রাশিয়ায় না হলেও কাতারের মরুভূমিতে ফুল ফোটাতে ফের বদ্ধপরিকর লিওনেল মেসি ও তার সতীর্থরা।ক্যারিয়ারের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলার মাইলফলকের সামনে থাকা ৩৫ বছর বয়সী মেসির যে এটিই সবশেষ বিশ্বকাপ, তা জানিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং মেসিই। নিজের শেষ বিশ্বকাপটা রাঙাতে চান শিরোপা উৎসব করে।