আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনাল ম্যাচ গ্যালারিতে বসে দেখতে উন্মুখ হয়ে আছেন আলবিসেলেস্তে সমর্থকরা। কাতারে টিকিটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে অনেকেই। যে কোনো উপায়ে টিকিট নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে, মেসিদের খেলা উপভোগ করতে চান তারা।
মাসজুড়ে দোহা মহোৎসবের মঞ্চ। কারও কারও জন্য হৃদয় ভাঙারও। আর্জেন্টাইনদের কাছে এ এক স্বপ্নের শহর। দীর্ঘ শিরোপাখরা ঘোচানোর আশা বড় থেকে আরও বড় হয়েছে এখানেই। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আকাশি-নীল রং ছড়াতে প্রস্তুত সবাই। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে লিওনেল মেসিরা, আত্মবিশ্বাসী সমর্থকরা।
হাইভোল্টেজ ম্যাচের টিকিটের চাহিদা আকাশচুম্বী। প্রায় ৮৯ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে ঠাঁই হবে না অনেকেরই। কিন্তু, প্রিয় দলের সেমিফাইনালের লড়াই স্বচক্ষে দেখার ইচ্ছেটা অদম্য। তাই শেষ মুহূর্তে এসেও একটা টিকিটের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে অগণিত মানুষ।
ম্যাচের আগমুহূর্তে চড়া মূল্যে টিকিট বিক্রি হওয়ায়, অনেকেই তা কিনতে পারছেন না। কিছুটা কম দামে টিকিট পেতে তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় তারা।
টিকিট পাওয়া না গেলেও অনেকেই আশা ছাড়েননি এখনো। খুঁজছেন ভিন্নপথ। স্টেডিয়ামের গেটে তারা অপেক্ষায় থাকবেন যদি কেউ বিক্রি করতে চায় সোনার ডিমপাড়া হাঁস। এক সমর্থকের ভাষায়, ‘ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের গেইটে অপেক্ষা করবো। কেউ যদি কম দামে টিকিট বিক্রি করে, আমি সেটা নেবো। ম্যাচটা দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’
ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট যেনো সোনার হরিণ। মরুর বুকে হন্যে হয়ে যা খুঁজছে আলবিসেলেস্তে ভক্তরা। তবে, শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত টিকিট ধরা না দিলেও অন্তত লুসাইলের ফ্যান জোনে মেসিদের সমর্থনে গগনবিদারী চিৎকার করতে চায় তারা।