1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
মূল হোতারা অধরা | Bastob Chitro24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন

মূল হোতারা অধরা

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩ জুন, ২০২২
দুবাই-সিলেট রুটে অভিনব পন্থায় সোনা চোরাচালান

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেন পরিণত হয়েছে সোনার খনিতে। কয়েক দিন পর পর দুবাই থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটের যাত্রীদের কাছ থেকে উদ্ধার হচ্ছে সোনা। অভিনব পন্থায় যাত্রীরা দুবাই থেকে কোটি কোটি টাকা মূল্যের সোনা দেশে নিয়ে আসছেন। শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে সোনার চালানসহ বাহক ধরা পড়লেও আড়ালে থেকে যাচ্ছে মূল হোতারা। পুলিশ ও গোয়েন্দারা মনে করেন, আটক যাত্রীরা জব্দ সোনার চালানের বাহকমাত্র। বাহকরা ধরা পড়লেও আড়ালে থেকে যায় আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের শক্তিধর হোতারা। যে কারণে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না দুবাই থেকে অবৈধভাবে সোনার চালান আসা। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে সর্বশেষ সোনার চালান ধরা পড়ে গতকাল। ময়নুল ইসলাম শাকিল নামের দুবাইফেরত এক যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১ কেজি ১৬০ গ্রাম ওজনের সোনার পাত। ট্রাভেল ব্যাগের ভিতর বিশেষ কায়দায় কার্বনের প্রলেপ দিয়ে নিয়ে আসা হয় সোনার পাতগুলো। সোনার বার গলিয়ে পাত তৈরি করে এগুলো ব্যাগের মধ্যে আটকানো ছিল। উদ্ধার সোনার বাজারমূল্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সোনাসহ আটক যাত্রী শাকিল সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাটের ফজলুর রহমানের ছেলে। এর আগে ২৭ মে মো. আলী আহমদ নামের দুবাইফেরত আরেক যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একই পরিমাণ সোনার পাত। নেবুলাইজার মেশিনের ভিতরে করে অভিনব পন্থায় তিনি এই সোনা নিয়ে আসছিলেন।

এরও আগে গেল বছরের ২৭ ডিসেম্বর ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১১ কেজি ২২০ গ্রাম ওজনের সোনা উদ্ধার ও এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগ। দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ওই চার যাত্রী আয়রন ও জুসার মেশিনের নিচে ঢালাই করে অভিনব পন্থায় এই সোনার চালান নিয়ে এসেছিলেন। ওসমানী বিমানবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. আল আমিন জানান, সোনার চালান আটক হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলা দিয়ে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ মামলা তদন্ত করে। তদন্তের বিষয়টি আর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হাতে থাকে না।সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ জানান, সোনা চোরাচালান চক্রের একটি পক্ষ থাকে বিদেশে, আরেকটি পক্ষ থাকে দেশে। যারা ধরা পড়ে এরা মূলত বাহক। চালানসহ যারা আটক হয় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তারা দুই প্রান্তের চোরাচালানিদের ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্যই দিতে পারে না, যে কারণে ওই চক্রের মূল হোতাদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি