আগেই সিরিজ খুইয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি তাই তাদের জন্য ছিল মান বাঁচানোর। কিন্তু ভারতের ব্যাটার ও বোলারদের দাপটে তৃতীয় ওয়ানডেতেও পাত্তা পায়নি তারা। ৯০ রানের হারে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে কিউইরা।
ইন্দোরে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ভারতের দেয়া ৩৮৬ রান তাড়া করতে নেমে ৪১.২ ওভারে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ২৯৫ রানে। ডেভন কনওয়ে ছাড়া ব্যাট হাতে এদিন জ্বলে উঠতে পারেননি আর কোনো কিউই ব্যাটার। ভারতের পক্ষে ৩টি করে উইকেট তুলে নেন কুলদীপ যাদব ও শার্দূল ঠাকুর।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই ফিন অ্যালেনকে হারায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৬ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে এবং হেনরি নিকোলস। ৪২ রানে নিকোলস ফেরেন কুলদীপের বলে। এর পর ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়েন কনওয়ে। মিচেল ফেরার পর ভরসা ছিল শুধু কনওয়ের ওপরই।
কিন্তু তিনি উমরান মালিকের বলে আউট হতেই কিউইদের আশা শেষ হয়ে যায়। ১০০ বল মোকাবিলায় ১২ চার ও ৮ ছক্কায় দলীয় ২৩০ রানে থামে তার ১৩৮ রানের ইনিংস। পরের দিকে কোনো ব্যাটারই আর দলকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখতে পারেননি। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন নিকোলস। এ ছাড়া স্যান্টনার ৩৪, মাইকেল ব্রেসওয়েল ২৬ ও মিচেল ২৪ রান করেন।
এর আগে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিয়ের আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। শুরু থেকেই শুভমান ও রোহিত দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। মাত্র ১০ ওভারেই ৮২ রান তুলেছিল ভারত। ৩৩ বলে অর্ধশতরান করেন শুভমান। রোহিত ৪১ বলে অর্ধশত রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৮৫ বলে ৯ চার ও ৬ ছক্কায় ১০১ রান করে থামে রোহিতের ইনিংস। এর মধ্য দিয়ে ১১০০ দিন পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির দেখা পান ভারতীয় অধিনায়ক। এ সংস্করণে তার সবশেষ সেঞ্চুরিটি এসেছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
অন্যদিকে শুভমানের ইনিংস থামে ১১২ রানে। ৭৮ বলে ১৪৩.৫৮ স্ট্রাইক রেটে ১৩ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান শুভমান। তিন ম্যাচ মিলিয়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬০ রান। দুই ওপেনারের জোড়া শতকে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটে ভারত। তিন নম্বরে নেমে বিরাট কোহলি ৩৬ রান করেন। শেষদিকে ৩৮ বলে হার্দিক পান্ডিয়া ৩৮ বলে ৫৪ ও শার্দূল ১৭ বলে ২৫ রান করেন। তাতে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান করে ভারত।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে কিউইরা ১২ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে। দুই সেঞ্চুরিতে ৩৬০ রান করে সিরিজসেরা নির্বাচিত হন শুভমান।