সড়ক-মহাসড়ক ফাঁকা থাকার পরও ঈদের দ্বিতীয় দিনে দেশের বিভিন্নস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। বুধবার সন্ধ্যায় রংপুরের তারাগঞ্জের পাগলাপীর এলাকায় মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মোল্লাকান্দি এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে একটি বাসের চাপায় ভ্যানের ৩ যাত্রী নিহত হয়েছে। এসময় বাসটি খাদে পড়ে বেশকয়েকজন যাত্রী আহত হয়। পঞ্চগড় সদরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের কমলদহ এলাকায় বাস উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি এলাকার হুমায়ুন কবীরের ছেলে মো. ফয়সাল (১৯) এবং চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার মোজাফফরাবাদ এলাকার স্বপন আচার্য্যের ছেলে শান্ত আচার্য্য (২৩)।
হাইওয়ে পুলিশের এএসআই বিপ্লব চন্দ্র নাহার জানান, স্বাধীন বাংলা পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে লহ্মীপুর যাচ্ছিল। ঢাকামুখী লেন ধরে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে যায়। এ ঘটনায় স্বাধীন বাংলা পরিবহনের বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।পাবনার সুজানগরে ভাইয়ের সাথে মোটরসাইকেলে বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে এক শিশু। এ সময় সাথে থাকা তার দুই ভাই আহত হন।ঝালকাঠিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে থ্রি হুইলার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের খোকসায় মালবাহী পিকআপভ্যানের সাথে সংঘর্ষে প্রাণ গেছে অটোরিকশার ২ যাত্রীর।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আনোয়ার নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহবধু নিহত হয়েছেন।