দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত বিএনপির কাছ থেকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা শোভা পায় না বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম। সম্প্রতি সময় সংবাদের এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, জনবিচ্ছিন্ন দলটি কখনোই জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারবে না।
কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভের কোনো রকম সম্ভাবনা নেই তাদের। কাজেই নির্বাচনকালীন সরকার, জাতীয় সরকার গঠন করার রূপরেখা দিয়ে লাভটা কী। এটা একটা মুলো দেখানো আর কি। মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দেবে, জনসম্পৃক্ত হবে, সবাই ১০ দফার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে, ১০ দফার দাবি কী, দাবি হচ্ছে আলেমদের ছেড়ে দিতে হবে, প্রকারান্তরে যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিতে হবে, এ কথাটিই বলার চেষ্টা করেছে। সরাসরি না বলে একটু ঘুরিয়ে বলেছে।
গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে পারবে না বলেই বিএনপি দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
এদিকে বিএনপির ১০ দফা ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না আওয়ামী লীগ। তবে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত বিএনপি যখন রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের কথা বলে তখন আতঙ্কিত হয় জনগণ।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামোর কী মেরামত করবে, তারা কী করতে পারে। যারা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য মৌলিক যে কাজগুলো করা দরকার যেটা তাদের ভাবনার ভেতরে নেই, তাদের নীতির মধ্যে নেই যেটাতে আমরা আদর্শ হিসেবে দেখি নাই। তারা রাষ্ট্র কাঠামোর মেরামত করার যে কথাটি বলে, এটা শুনে আমরা শঙ্কিত হই জনগণের কথা ভেবে।
১০ দফা দাবিতে পরোক্ষোভাবে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চায় জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দলটি সংসদ নির্বাচনে প্রয়োজনীয় আসনই পাবে না।
আগামী নির্বাচন এবং বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলায় দলকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। সবশেষ ধাপ হিসেবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন।