1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
বাজার স্থিতিশীল রাখতে খোলাবাজারে চাল-আটা বিক্রি চলবে: খাদ্যমন্ত্রী | Bastob Chitro24
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন

বাজার স্থিতিশীল রাখতে খোলাবাজারে চাল-আটা বিক্রি চলবে: খাদ্যমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে যতদিন প্রয়োজন, ততদিন খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে। পাশাপাশি চলতি আমন মৌসুমে খরা কাটিয়ে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে আরও চাল আমদানি করা হবে।মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচিসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

নিত্যপণ্যের চড়া বাজারের প্রভাবে মানুষের কষ্ট সরকার জানে বলেও মন্তব্য করেন সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বছরে ৫ মাস (মার্চ থেকে এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর) চলে। যদি বাড়াতে হয় সেটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। ওএমএস কর্মসূচি বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য যতদিন প্রয়োজন ততদিন রাখব।

গেল পহেলা সেপ্টেম্বরের আগের তুলনায় দ্বিগুণ যোগান নিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার কাজ করছে। আমাদের সর্বত্র মনিটরিং আছে। জেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও মনিটরিং করছেন।

ধান-চাল সংগ্রহের তথ্য এবং সরকারের আগামী পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, বোরো মৌসুমে ১১ লাখ ২১ হাজার ৯১০ টন সিদ্ধ চাল এবং ৫৫ হাজার ২০৮ টন আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যতটুকু বেশি পারি আমরা চাল কিনেছি।খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধান কেনায় সরকার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। ৬ লাখ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও কেনা হয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন। ধানটা রাখা হয় এজন্য যে, বাজারে যদি ধানের দাম কমে যায়, কৃষকরা যেন বিপদে না পড়ে। সরকার যদি ধানের বাজারে থাকে তাহলে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনতে পারবে না। তবে আমাদের রেটের চেয়েও কৃষকরা বাজারে বেশি দাম পেয়েছে।

এ জন্য সরকার শতভাগ ধান কিনতে পারেনি বলে তিনি দাবি করছেন। মন্ত্রী বলেন, সরকার চলতি আমন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে তবেই চাল আমদানি করবে। সরকারিভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন চাল ও গম কেনা হচ্ছে।

আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে এক প্রশ্নে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলাম। সেখানে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকায় ৪৭ হাজার টনের মতো চাল এসেছে। শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আমরা আশা করি কিছু চাল আরও আসবে। মোটা চাল নয়, নন-বাসমতি মধ্যম মানের সরু চাল আসবে বলে আমরা বিশ্বাস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি