সিলেট, সুনামগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যার কারণে সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আগামী রোববার থেকে চলতি বছরের মাধ্যমিক, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল, যাতে অংশ নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের শুক্রবার বলেন, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তর থেকে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। “সকল শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি জেনারেল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।” ভারতের মেঘালয়-আসামে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে চলতি মওসুমের তৃতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেট অঞ্চলে। সুনামগঞ্জের শহরে এখন একতলা কোনো বাড়িতে পানি উঠতে বাকি নেই। সদরের পাশাপাশি দোয়ারাবাজার, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলা ভাসছে বন্যায়। পানি ঢুকেছে সিলেট শহরেও। জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও সদর উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা এখন পানির নিচে। এসব এলাকার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকেছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্গতা আশ্রয় নিয়েছেন। দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে সুনামগঞ্জে। বন্যাকবলিত এ দুই জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৭৫২ জন এবং সিলেটে ৪৩ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষার্থীর এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কথা। দুই জেলায় ৯২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজনও চলছিল। তবে গত দুই দিনে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বেগে ছিলেন। পরীক্ষা স্থগিতেরও দাবি জানাচ্ছিলেন তারা। মহামারীর কারণে পিছিয়ে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা ১৯ জুন শুরু করে ৬ জুলাই শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু বন্যার কারণে তা আরও পিছিয়ে গেল।