স্থানীয় বুলিয়ান মার্কেটে দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বাজারেও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৮৪৯ টাকা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে স্বর্ণের এ নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সোমবার বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি মুহূর্তে গোল্ডের দাম ওঠানামা করছে। এই বাড়ছে তো, ওই কমছে। তিন সপ্তাহ ধরে দাম বেশ খানিকটা বেড়েছে। সে কারণে আমরাও বাড়িয়েছিল।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় স্থানীয় বাজারে দুই দফায় দাম কমানো হয়েছিল। আমরা প্রতি মুহূর্তে বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। এখন বিশ্ববাজারে দাম বাড়ছে; আমরাও বাড়িয়েছি। দেশে স্বর্ণের দাম বাড়া বা কমা নির্ভর করে আসলে বিশ্ববাজারের ওপর।
বিশ্ববাজারে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম, ২.৬৫ ভরি) স্বর্ণের দাম ছিল ছিল ১ হাজার ৯৫২ ডলার ৯৫ সেন্ট। ২১ মার্চ যখন স্বর্ণের দাম কমানো হয় তখন এর দাম ছিল ১ হাজার ৯৩৬ ডলার ১১ সেন্ট। মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬০ ডলারে উঠেছিল।
মঙ্গলবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ কিনতে লাগবে ৭৮ হাজার ৮৪৯ টাকা। সোমবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণ ৭৮ হাজার ১৪৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেড়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা।
২১ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম একই পরিমাণ বেড়ে ৭৫ হাজার ৩৪৯ টাকা হয়েছে। গত তিন সপ্তাহ ৭৪ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই মানের স্বর্ণ।
১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৪ হাজার ৫৬০ টাকা। সোমবার পর্যন্ত ৬৩ হাজার ১০২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৩ হাজার ৮২৯ টাকা। ৫২ হাজার ৬০৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই তিন সপ্তাহ। তবে রূপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের দামেই বিক্রি হবে এই ধাতু।