এবার পেঁয়াজের ঝাঁঝ একটু কমলেও, ‘ঝাঁ ঝাঁ’ করে বাড়ছে আদার ঝাঁঝ। ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দাম ওঠে, এখন নেমে এসেছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। কিন্তু মাস খানেক আগেও দেড়শ’ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি আদা এখন বিক্রি হচ্ছে, পাইকারিতে আড়াইশ’ আর খুচরায় সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’।
ব্যবসায়ীদের যুক্তি আমদানি কম বলেই পেঁয়াজ-আদার এই উচ্চমূল্য।
ঝাঁঝ কমছে, মানে দাম কমছে পেঁয়াজের। রাজধানীর শ্যামবাজারে গেলো তিন দিনে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৬২ থেকে ৬৬ টাকা কেজিতে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আইপি না দিলেও চোরাইপথে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে বিধায় বাজার কমতির দিকে। তারা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেই ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় নেমে আসবে দাম।
চায়না থেকে মাস খানেক ধরে আদা আমদানি বন্ধ। বিধায় অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে আদার দাম। বাজারে মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের যে আদা পাওয়া যাচ্ছে সেটা পাইকারিতেই বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে আড়াইশ’ টাকায়। খুচরা বাজারে যে আদা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা কেজি।
কেন আদার দাম বেশি? কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা বলছেন, উৎপাদন কম বলে এখন আন্তর্জাতিক বাজারেই আদার দাম বেশি। সাথে বাড়তি যোগ হয়েছে ডলার সংকটে এলসি জটিলতা।
আদা আমদানিকারক গোলাম হাসান বলেন, ইন্ডিয়াতে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আদা উৎপাদন হয়। এবং চায়নায়। কিন্তু এই দুটি দেশে বন্যার কারণে প্রচুর আদা নষ্ট হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন ইন্দোনেশিয়ার থেকে আদা কিনছে- তাও বেশ কিছু জটিলতা আছে।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, বাজারে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া আদার আমদানি খরচ পড়েছে মাত্র ৫৮ টাকা। আর টিসিবির তথ্য বলছে মাস খানেকের ব্যবধানে আদার দাম বেড়েছে ৯২ দশমিক ৩১ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে আদার দামটা বেড়েছে ২৭৫ শতাংশ। আদার পাশাপাশি এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮১ দশমিক ২৫ শতাংশ।