1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি | Bastob Chitro24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

পর্যাপ্ত সরবরাহের পরও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ মে, ২০২২

আমদানি বন্ধের সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

ভরা মৌসুমে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত। তারপরও ভারতের পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের খবরে নড়েচড়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঈদের আগে থেকে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল দেশি পেঁয়াজ। হঠাৎ কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে এখন তা ৪০ টাকায় ঠেকেছে। দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে গত তিনদিন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার ফলসূতিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন আমদানি বন্ধ থাকলে দাম আরও বাড়বে। তবে কেউ কেউ বলছেন, বৃষ্টি কারণে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বাড়তে পারে। অবশ্য বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি ও ভারতের পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হচ্ছে। ভরা মৌসুম হওয়াতে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। তারপরও ভারতের পেঁয়াজের আমদানি বন্ধে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শ্যামবাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ভারতের পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। দু’দিন আগেও ২৭ টাকা ছিল। ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে না বলে দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। বৃষ্টির কারণে দেশি পেঁয়াজের আমদানি খুব কম। ২৬-২৯ টাকা দরে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ২১-২৫ টাকা।

এদিকে, রাজধানীর সেগুনবাগিচায় খুচরা বাজারে দুই ধরনের পেঁয়াজই প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩০-৩৫ টাকা কেজি। এ বাজারের খুচরা বিক্রেতা সুমন হোসেন বলেন, ঈদের আগে পাইকারিতে ২২-২৪ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। গত সোমবার পাইকারি কিনেছি ৩০ টাকা দরে, যা পরিবহন ও অন্যান্য খরচ ধরে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আনেন এমন আমদানিকারকরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির আগের ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে আইপি না পাওয়ায় কয়েকদিন ধরে আমদানি বন্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। তারা জানান, এখন পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কবে দেওয়া হবে কিংবা দেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ কিছু বলছে না।

ভারতের পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি আসে হিলি স্থলবন্দর হয়ে। সেই স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল ৬৮ ট্রাকে এক হাজার ৯০২ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এরপর ঈদের ছুটি শুরু হয়। ছুটি শেষে গত শনিবার থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এরপর কোনো পেঁয়াজ আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি