নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে শুরু হয় নৌকায় পিকনিক এর নামে অশ্লীলতা। সপ্তাহের প্রত্যেক শুক্রবারে দেখা যায়, একদল কিশোর অশ্লীল ভাবে, দেহের বিভিন্ন অঙ্গ নাড়িয়ে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করে ডিজে পার্টি করে। এ সব উৎশৃঙ্খল ,অধিকাংশ কিশোরের বয়স ১২-২৫ এর মধ্যে যারা কিছু কিশোর গ্যাং এর সদস্য। ২৪ জুলাই- ২০২৩ কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সাংবাদিকবৃন্দের মতবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন। এলাকাবাসীর দাবি-কুষ্টিয়া গড়াই নদীতে এসব অশ্লীলতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শহরের ব্যস্ত মানুষ একটু খোলা হাওয়ায় ঘুরতে আসে শহরের শেখ রাসেল সেতুর নীচে, কিন্তু এখন আর সেই পরিবেশ নাই। কিছু কিশোর তাদের উদ্যোগে এসব নৌকা ভ্রমন পরিচালনা করে। নাই কোন বাধ্য বাধকতা, নাই কোনো সাবধানতা বেপরোয়া ভাবে চলছে নৌকা ভ্রমণ। নৌকার উপরে মাত্রা অতিরিক্ত সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে নৌকা ভ্রমন নামে হচ্ছে অশ্লীলতা বাজানো হচ্ছে অশ্লীল সব গানের তালে তালে নৌকায় থাকা কিশোর দের শরীরের অঙ্গভঙ্গীতে অশ্লীলতা চলে। বেশির ভাগ যুবক থাকে অর্ধ উলঙ্গ। বিকৃত মানষিকতায় প্রতিনিয়ত এসব করে যাচ্ছে। নৌকাতে তোলা হচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের যারা অশ্লীলতাকে আরও চরম অবস্থায় নিয়ে যায়। এছাড়াও, স্থানীয় মানুষদের কাছে জানা যায় শুধু পার্টির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না, চলে ‘মাদক সেবন’ । এতে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। তাছাড়া এলাকাবাসীর থেকে জানা যায়, তারা নৌকা পদ্মা নদীর ট্যাঁক থেকে- ভাড়া করে আমলাপাড়া সংলগ্ন গড়াই নদীর পাড়ে আগের দিন রাতে নিয়ে আসে। সাউন্ড সিস্টেমও কুষ্টিয়া সহ আশে-পাশের জেলা থেকে ভাড়া করে আগের দিন রাতেই নিয়ে আসে এবং নৌকাতে পিকনিকের আয়োজন করে। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবারে সকালে তারা পিকনিকের উদ্দেশ্যে বের হয় এবং দুপুরের পর থেকে হরিপুর শেখ রাসেল সেতু থেকে কুষ্টিয়া ঘোড়ার ঘাটের মধ্যে ঘোরা-ফেরা করে। নদীর আশে পাশে বসত বাড়ির মানুষের ভোগান্তি। অনেক মানুষ এই মাত্রাঅতিরিক্ত সাউন্ড এর কারনের অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। এমন কি নামাজের সময় বন্ধ হয় না তাদের গান বাজনা। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই।দিন দিন এর মাত্রা বেড়েই চলেছে। এছাড়াও উচ্চমাত্রার গান বাজানো আইনত অপরাধ।