ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পিরোজপুরে বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। এতে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ও নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে চলছে মাইকিং।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে পিরোজপুরের ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।
এদিকে জেলা প্রশাসন থেকে পিরোজপুরে প্রস্তুত করা হয়েছে ২৬১টি সাইক্লোন শেল্টার।
আবহাওয়া অধিদফতর থেকে সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর সতর্কবার্তা দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার খবর না থাকলেও কৃষিক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
এ ছাড়া সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা নিরাপদে এলাকায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল বারী।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২৫০ টন চাল ও নগদ এক লাখ টাকা প্রস্তুত রেখেছি। জেলায় এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি বা ত্রাণ সহযোগিতা প্রয়োজন হলে দ্রুত তাদের কাছে ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছানো হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..