1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
নাটকীয়তার পর সুমনের লাশ গ্রহণ করেছে পরিবার | Bastob Chitro24
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

নাটকীয়তার পর সুমনের লাশ গ্রহণ করেছে পরিবার

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২

হাতিরঝিল থানা হাজতে মৃত্যু

তিনদিনের নাটকীয়তা শেষে হাতিরঝিল থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত সুমন ওরফে রুমনের লাশ গ্রহণ করেছে তার পরিবার। পুলিশ নিহতের বাবা-ভাই এবং স্ত্রীর ত্রিমুখী টানাটানি শেষে গতকাল দুপুরে সুমন শেখের মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেন তার বাবা পেয়ার আলী এবং তার বড় ভাই। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুর আড়াইটার সময় রাজধানীর শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গ থেকে সুমনের (রুমনের) বড় ভাই সুমন ও তার বাবা লাশ গ্রহণ করেন। এরপর লাশটি মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের আল মারকাযুলে গোসল শেষে এম্বুলেন্সযোগে রামপুরার নিজ এলাকায় নিয়ে যান। রামপুরার ডিআইটি রোডের পাওয়ার হাউস মাঠে জানাজা শেষে আজিমপুর গোরস্তানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এদিকে স্বামীর লাশ গ্রহণের বিষয়টি জানেন না মৃত সুমনের স্ত্রী জান্নাত বেগম। স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে সঠিক বিচারের দাবিতে সংশ্লিষ্ট হাতিরঝিল থানায় মামলা না নিলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে গত দু’দিন ধরে আদালতে গেলেও অদৃশ্য কোনো কারণে মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুমনের স্ত্রী জান্নাতের ভাই বলেন, গত কয়েক দিন ধরে স্বামী হত্যার সঠিক তদন্ত এবং বিচার চেয়ে আদালতে এলেও আদালত আমাদের মামলা নিচ্ছেন না। আমাদের চোখের পানির কোনো মূল্য নেই। একজন অসহায় নারী তার স্বামী হত্যার সঠিক বিচার কি এ দেশে পাবে না। মামলা করতে না পেরে অনেকটা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জান্নাত।

মামলা না নেয়া পর্যন্ত স্বামীর মরদেহ গ্রহণ করবে না স্ত্রী জান্নাত। জান্নাতের এই প্রতিবাদের আগুনে যেন পানি ঢেলে দিলেন তারই শ্বশুর এবং ভাসুর। স্বামীর মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফনের সংবাদ পেয়ে দাফন ঠেকাতে ছোট ভাইকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে যেতে পুলিশি প্রহরা এবং সহায়তায় সুমনের মরদেহ দাফন হয়েছে বলে জানায় তার পারিবারিক সূত্র। জান্নাত বলেন, প্রতিজ্ঞা করেছিলাম স্বামী হত্যার সঠিক বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লাশ গ্রহণ করবো না।

অথচ আমাদের না জানিয়ে শ্বশুর এবং ভাসুর মিলে পুলিশের সহায়তায় মরদেহ দাফন করছে। আমরা কিছুই জানি না। এদিকে চুরির মামলা প্রসঙ্গে নিহতের পরিবারের দাবি, কোনো প্রকার ওয়ারেন্ট ছাড়াই সুমনকে গত শুক্রবার বিকালে রামপুরার বাসা থেকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি যদি চুরি করে থাকেন সে বিচার দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। তার শাস্তি এবং জেল-জরিমানা দিতে পারতেন। কিন্তু এভাবে একজন মানুষকে পিটিয়ে মেরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছেন। লাশ গ্রহণের বিষয়ে জানতে সুমন শেখের বাবা পেয়ার আলী এবং তার বড় ভাইয়ের মুঠোফোনে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক মানবজমিনকে বলেন, একজন বাবা তার সন্তানের লাশ গ্রহণ করতে এসেছেন। আমরা এই মানবিক দিক বিবেচনায় সুমনের মরদেহ হস্তান্তর করেছি। এখন তার স্ত্রী-বাবা পরস্পর বিষয়টি জানালো কি না সেটা তাদের পারিবারিক বিষয়। এটা জানা পুলিশের কাজ নয়। এ ঘটনায় হওয়া তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এর আগে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই। তদন্তে দায়ী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি