স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে দফায় দফায় আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান করছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
কালের কণ্ঠ রাজশাহী অফিসের চিত্র সাংবাদিক সালাউদ্দিন গনী বলেন, বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা কর্মরত অবস্থায় নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে আছাড় মেরে ভাঙচুর করেছে।
এর আগে শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল থেকে রাবি ছাত্ররা আন্দোলন করতে থাকে। তাদের শান্ত করতে দফায় দফায় টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এরপর আজ সকাল থেকে শুরু হয়েছে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তারা প্রধান ফটকে আগুন জ্বালিয়ে আন্দোলন করে। তবে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক বন্ধ থাকলেও বিকল্প পথে চলছে গাড়ী।
এর আগে সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন। হামলাকারী স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশ সদস্যদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবি করেন তারা।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় রাত ১১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা স্থগিত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরে রাত ২টার দিকে ফের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন। এ সময় বাসে বসাকে কেন্দ্র করে চালকের সহকারীদের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে আবার বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় স্থানীয় এক দোকানদার (ব্যবসায়ী) এসে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এক জোট হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। পরে শিক্ষার্থীরা তাদের পাল্টা ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় কমপক্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ঘটনার পর বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শনিবার (১১ মার্চ) রাতে সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে রোববার (১২ মার্চ) ও সোমবারের (১৩ মার্চ) সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে।