শীত জেঁকে বসেছে উত্তরের জনপদ নীলফামারীতে। ঘন কুয়াশায় মোড়ানো নীলফামারীর জনপদ। পূর্ব আকাশে সূর্য উঁকি দিলেও নেই প্রখরতা। বইছে ঠান্ডা বাতাস।
গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমে ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। সেইসঙ্গে হাসপাতালগুলোয় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব।
সরেজমিনে দেখা যায়, হিমালয়ের পাদদেশের এলাকা হওয়ায় বরাবরের মতো এবারও আগেভাগে শীত নেমেছে নীলফামারীতে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূলের মানুষ। পুরানো কিংবা জরাজীর্ণ কাঁথা গায়ে দিয়ে রাত পার করছেন অনেকে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল সূত্র জানায়, শীত জেঁকে বসায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। প্রতিদিনই জ্বর, কাশি, সর্দি অথবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা। বর্তমানে সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছে।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াসিম বারী জয় বলেন, শীতে ভাইরাস বেশি ছড়ায়। এতে শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। এ অবস্থায় শিশুদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..