1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার | Bastob Chitro24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২

জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সালের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে দেশে মোট জন্যসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। ২০১১ সালে যা ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন। অর্থাৎ গত ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জনসংখ্যার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, এটা প্রাথমিক প্রতিবেদন। সামনে পিইসি করতে হবে। সিলেটের বন্যার কারণে সকল পরিবারকে গণনার আওতায় আনা গেছে কিনা সেটা দেখতে হবে। এদিকে গত ১০ বছরে দেশে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে দেশে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোট ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন এবং নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৮ জন। পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। এক্ষেত্রে মেয়েদের জীবনের আয়ুষ্কাল বেশি হওয়া এবং অভিবাসনকেই তিনি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ মনে করেন। বলেন, বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ুষ্কাল পুরুষদের তুলনায় ৩ থেকে ৪ বছর বেশি। এছাড়া দেশে নারীর সংখ্যা বেশির আরেকটি কারণ হতে পারে অভিবাসন। দেশ থেকে এক কোটিরও বেশি মানুষ বিদেশে গেছে। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই অনেক বেশি। সেটিও জনশুমারির তথ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। এদিকে শুমারির তথ্যানুযায়ী দেশে জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার কমছে। এবারের শুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২ শতাংশ। যা ২০১১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ১.৪৬ শতাংশ, ২০০১ সালে ছিল ১.৫৮ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ছিল ২.০১ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ছিল ২.৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ শুমারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে। ঢাকা বিভাগের পল্লীতে সবচেয়ে বেশি মানুষের বাস: ঢাকা বিভাগের পল্লী এলাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে। এ বিভাগের পল্লী এলাকায় মোট জনসংখ্যা ২ কোটি ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১৬ জন। অন্যদিকে বরিশাল বিভাগের পল্লী এলাকায় সবচেয়ে কম মানুষ বসবাস করে। এ বিভাগের পল্লী এলাকায় ৬৮ লাখ ৯ হাজার ৮৪৪ জন মানুষের বাস। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে পল্লী এলাকার মোট জনসংখ্যার ৫ কোটি ৫১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৪২ জন পুরুষ, নারী ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯০ হাজার ৪৬২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ হাজার ২৮২ জন। শহর এলাকায় মোট জনসংখ্যার ২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮২ জন পুরুষ, ২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৪ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ হাজার ৩৪৬ জন। মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে: বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৯১.০৪ শতাংশ মুসলমান। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনগোষ্ঠীর ৯০.৩৯ শতাংশ মানুষ মুসলমান ছিল। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের সব বিভাগেই মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় সব বিভাগেই কমছে হিন্দু, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। বর্তমান শুমারিতে হিন্দু জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ৭.৯৫ শতাংশ, ২০১১ সালে যা ছিল ৮.৫৪ শতাংশ। ২০২২ সালের শুমারি অনুযায়ী দেশের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ০.৬১ শতাংশ, ২০১১ সালের যা ছিল ০.৬২ শতাংশ। বর্তমান শুমারিতে খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ০.৩০ শতাংশ, ২০১১ সালে যা ছিল ০.৩১ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ০.১২ শতাংশ, যা ২০১১ সালে ছিল ০.১৪ শতাংশ। সাক্ষরতায় নারীর চেয়ে এগিয়ে পুরুষ: জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সারা দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬৬ শতাংশ। সাক্ষরতার হারে নারীদের চেয়ে এগিয়ে আছে পুরুষরা। ২০১১ সালের আদমশুমারির তুলনায় সাক্ষরতার হারে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের আদমশুমারিতে দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৫১.৭৭ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি