নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফ্রান্সের বছর ৫৩ এর এক ব্যক্তি হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করেন তাঁর চোখে বেশ অস্বস্তি হচ্ছে। চোখে বারবার পানির ঝাপটা দিয়েও সমস্যা মিটছে না। বরং চুলকানি বাড়ছে । সমস্যা বাড়তে থাকায় সেন্ট-এটিন হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন তিনি। স্ক্যান করার পর দেখা যায় ওই প্রৌঢ়ের ডান চোখের ভেতরে ডিম পেড়েছে মাছি। ডিমের সংখ্যা এক ডজনেরও বেশি। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় চিকিৎসকদের। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ওই প্রৌঢ়ের কর্নিয়ার চারপাশে মাছির ‘ট্রান্সলুসেন্ট লার্ভা’ দেখা গেছে, যার সংখ্যা এক ডজনেরও বেশি।
চোখ পরীক্ষার সময়ে ফ্রান্সের ওই ব্যক্তি চিকিৎসকদের জানান, এক দিন ঘোড়া এবং ভেড়ার খামারের কাছে বাগান তিনি কাজ করছিলেন, তখনই চোখে কিছু একটা প্রবেশ করেছিল। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, হাসপাতালের চিকিৎসকরা ডান চোখের স্ক্যান রিপোর্ট দেখেই আন্দাজ করছিলেন, ওই ব্যক্তির চোখের ভেতরে মাছির ডিম বা লার্ভা রয়েছে। এরপর অস্ত্রোপচারের টেবিলে একে একে লার্ভাগুলিকে বের করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কনজাংটিভা, চোখের পাতার আস্তরণের ঝিল্লি এবং চোখের সাদা অংশের ভিতরে ছিল একাধিক লার্ভা। ক্ষুদ্র প্রাণীগুলো বের করে এনে পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানান, এগুলি অস্ট্রাস ওভিস গোত্রের মাছির লার্ভা। যারা সাধারণত ভেড়ার দেহে থাকে।
চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, চোখের ভেতর থেকে লার্ভা সহজে বের হয় না। চোখ ধুয়েও কোনো ফল হয় না। একমাত্র অস্ত্রোপচারের সময় ফরসেপ ব্যবহার করেই লার্ভা থেকে মুক্তি মেলে। অন্য কোন পদ্ধতি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে কারণ লার্ভাগুলির শরীরে ‘ওরাল হুক’ থাকে, যা দিয়ে তারা কর্নিয়াকে আঁকড়ে ধরে থাকে। এই বিশেষ ক্ষেত্রে, লোকটি ভাগ্যবান যে লার্ভা কেবল তার একটি চোখে ছিল। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
সূত্র: www.timesnownews.com