দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সোমবার বিকেল থেকেই দেশের ৩ বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আবহাওয়ার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিমানবন্দর।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে দেশের বিমানবন্দরের এপ্রোন এলাকার হালকা যন্ত্রপাতি সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এয়ারলাইন্সগুলোকেও তাদের যন্ত্রপাতি নিরপদ স্থানে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে ঝড়ে কোনও যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এরইমধ্যে ফ্লাইট কমিয়েছে নভোএয়ার বাংলাদেশ বিমান ও ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্স। এখন পর্যন্ত শিডিউল ঠিক আছে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের। তবে বন্ধ ঘোষণা করা ওই তিন বিমানবন্দরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
সকালে বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রে যে সব জাহাজ যেখানে অবস্থান করছে, সেখান থেকে না সরতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, সিত্রাং-এর প্রভাবে সকাল থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপকূলে ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সিত্রাং মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর কিংবা সকালের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।