দেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ১৯ পয়সা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এক নির্বাহীর আদেশে দাম বাড়ানো হয়। সেই সঙ্গে এখন থেকে প্রতিমাসে বিদ্যুতের খুচরা দাম নিয়মিত সমন্বয় করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎসচিব হাবিবুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘আজকের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। আমি এটুকু জানি।’
গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি শুরু করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
সে গণশুনানিতে অংশ নিয়েছিল পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও নেসকো। তারা তখন গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক শূন্য ৮ থেকে ২৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবের পক্ষে নানা যৌক্তিকতা তুলে ধরে।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়ালে বিতরণ কোম্পানি ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলেও দাবি করে কর্তৃপক্ষ।
এসময় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসির কারিগরি কমিটি। তারা প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের খুচরা দাম ১ টাকা ১০ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করে। সেই হিসাবে খুচরা বিদ্যুতের দাম গড়ে ৭ দশমিক ১৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ দশমিক ২৩ পয়সা করার সুপারিশ করে।
এর আগে গত বছরের ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে বিতরণ কোম্পানির জন্য বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় বিইআরসি। এরপর খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করে ৫ প্রতিষ্ঠান। তাদের দাবি, পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানোর পর খুচরায় বিদ্যুতের দাম না বাড়ালে তারা লোকসানের মুখে পড়বেন।
সবশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল সরকার।