1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
খানাখন্দে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ভোগ | Bastob Chitro24
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন

খানাখন্দে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ জুলাই, ২০২২

খানাখন্দ ও কাদাপানিতে একাকার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে মহাদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের চালককে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে যেমন সময় বেশি লাগছে, ঠিক তেমনি অর্থ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারীরা। অন্যদিকে ঈদ, বর্ষা ও জুনে ধুমধাম করে চলে দায়সারা সংস্কারকাজ। এ কাজে বছরে কত টাকা ব্যয় হয়, তার হিসাব নেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাছে। প্রতি মাসেই বেশ কয়েকবার শুকনো পাথরের ওপর বিটুমিন ছিটিয়ে সম্পন্ন হয়ে আসছে সংস্কার। বিভিন্ন উৎসব সামনে রেখে এ সড়কে সংস্কার করা হলেও তা কয়েকদিনের বেশি টেকসই হয় না। এ নিয়ে এলাকাবাসীর নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভ থাকলেও তা দেখার কেউ নেই। কুষ্টিয়া-মেহেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছুদূর পরপরই ছোট-বড় গর্ত। প্রায় দেখা যায়, এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক বিভাগের ট্রাকে বিটুমিন গরম করা হচ্ছে। শুকনা পাথর দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে গর্ত, তার ওপর ছিটানো হচ্ছে বিটুমিন। বড় বড় গর্ত ভরাট করা হয় নিম্নমানের ইট দিয়ে। সারা বছরই এমন সংস্কারের কয়েকদিনের মধ্যে এ মহাসড়ক আগের রূপে ফিরে যায়। বৃষ্টির পানি জমে গর্ত বোঝার উপায় থাকে না। মাঝে মাঝেই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। মাঝ রাস্তায় বিকল হয়ে যায় যানবাহন। বেড়ে যায় ভোগান্তি। মেহেরপুর জেলার অন্তর্গত সড়কটি শেষ হয়েছে কুষ্টিয়ার সীমান্ত খলিশাকুি ব্রিজে। খানাখন্দের কারণের মহাসড়কের মেহেরপুরের অংশে কুষ্টিয়া জেলার বাস চলছে না। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার সীমানা খলিশাকুি পর্যন্ত সড়কটি প্রায় ২৮ কিলোমিটার। এ সড়কের মেহেরপুর সদর উপজেলার সীমানা অংশে ভাঙা না থাকলেও উঁচু-নিচু (জার্কিং) রয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া, বাঁশবাড়িয়া, হাসপাতাল বাজার, ট্রাক টার্মিনাল, মহিলা কলেজ মোড়, গাংনী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে রাজা ক্লিনিক পর্যন্ত। ফতাইপুর থেকে চোখতোলা যাত্রী ছাউনি এবং জোড়পুকুর বাজারে সবচেয়ে বেশি গর্ত। এসব স্থানে প্রতিনিয়িত ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া তেরাইল, মুন্দা অলিনগর হয়ে খলিশাকুি পর্যন্ত একই চিত্র। তবু প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও মানুষ চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। জোড়পুকুর বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, বেশ কয়েক বছর বাজারসহ সড়কের অনেক স্থানেই ভাঙাচারা ও বড় বড় গর্ত। দেখার কেউ নেই। বাস-ট্রাক নষ্ট হলে সেগুলোও উদ্ধার করতে হয় আমাদের। কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কের জোরপুকুরিয়া বাজারের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতি মাসেই ট্রাকে করে পাথর এনে মেরামত করে যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরের দিনই তা উঠে হারিয়ে যায়। এমনই অভিযোগ এ সড়কে চলাচলকারী সবারই। মাইক্রোচালক মহিবুল ইসলাম জানান, জরুরি প্রয়োজনে বা কোনো রোগীকে হাসপাতালে নিতে গেলে এ রাস্তায় যেন আরো অসুস্থতা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি এক ঘণ্টার এ পথে দুই-তিন ঘণ্টা লেগে যায়। মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহীন মিয়া এবং রফিকুল ইসলাম এ সড়কের দায়িত্বে রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে চলতি অর্থবছরের বিভিন্ন সময়ে মেরামতকাজে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা জানতে চাইলে বলেন, আমাদের নিজস্ব লেবার, বিভাগীয়ভাবে সরবরাহ করা পাথর ও বিটুমিন দিয়ে সংস্কারকাজ হয়েছে। এগুলোর হিসাব আমরা জানি না। নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল করিম জানান, এ সড়ক মজবুত ও প্রশস্তকরণের টেন্ডার হয়েছে। সড়কের গাছ অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা সম্পন্ন হলেই সড়কের কাজ শুরু করা হবে। এ মুহূর্তে ঠিক কতবার এ সড়কের মেরামত করা হয়েছে তার তালিকা ও সংস্কারকাজে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, তা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি