সয়াবিন তেলের সঙ্কট প্রকট। ভোক্তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে হাহাকার। তেল নিয়ে দেশজুড়ে চলছে তেলেসমাতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে দাম বাড়িছে সরকার। তবুও সঙ্কট কাটছে না। বাজারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। এমন পরিস্থিতিতে গুদামে গুদামে অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে একে একে খুলতে শুরু করেছে গুদামের দরজা। উদ্ধার করা হচ্ছে হাজার হাজার লিটার তেল। দেশের বিভিন্ন গুদামে অভিযানের পর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, দেশে যথেষ্ট সয়াবিন তেল থাকা সত্ত্বেও ঈদের আগে-পরে তা দোকানে আসেনি। এতে ১০ দিনে ৪০ হাজার টনের মতো সয়াবিন তেল মজুদ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল কুষ্টিয়ায় সয়াবিন তেল মজুত করে রাখা ও বেশি দামে বিক্রির অপরাধে তিন দোকানিকে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয় এ অভিযান চালায়। অধিদফতরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডলের নেতৃত্বে শহরের বড় বাজার ও পৌর বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জানান, বড় বাজার এলাকায় মেসার্স মা ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি গোডাউনে গিয়ে পাওয়া যায় ৪০ হাজার লিটার তেল মজুদ রয়েছে। এভাবে বিক্রি না করে মজুত রাখায় বুদ্ধ দেব কুন্ড ও স্বপন কুমার সাহা কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপর শহরের পৌর বাজারে বোতলের মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রয় করার অপরাধে মা স্টোর কে হাজার টাকা এবং বোতলের তেল ঢেলে অধিক মূল্যে বিক্রয় করার অপরাধে সবুজ সাথী স্টোর কে ৬হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি। অভিয়ানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) জনাব সুলতানা রেবেকা নাসরীন, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার ও কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের একটি দল অভিযানে সহায়তা করে।