কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গোয়াল ঘরের জ্বালানো কয়েলের আগুনে লেগে ৮টি পরিবারের বসবাসের ঘর, রান্না ঘর ও গোয়ালঘরসহ মোট ১২টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গোয়ালঘরের জ্বালানো মশার কয়েল থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটেছে। এতে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, কৃষি ফসল, নগদ টাকা, গোবাদি পশুসহ প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন- উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মো. লেকমান শেখের ছেলে মো. লুৎফর রহমান (৫০), মৃত রাজাই শেখের ছেলে মো. লোকমান হোসেন (৭৫), ফেলু শেখের ছেলে হেকমত আলী (৫৫), আব্দুল হাকিম (৫২), আরিফুল ইসলাম (৪০) ও শহিদুল ইসলাম (৩৬), লুৎফর রহমানের ছেলে শাহীন (২২) ও আক্তার। ক্ষতিগ্রস্থরা সকলেই পেশায় দিনমজুর, কৃষক ও ব্যবসায়ী। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাত ২ টার দিকে লুৎফর রহমানের গোয়ালঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের ঘরবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী ছুটে এসে পানি, কলাগাছ ও লতাপাতা দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট এসে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ৮ টি পরিবারের বসবাস, রান্না ও গোয়ালঘরসহ ১২টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, কৃষি ফসল, নগদ টাকা, গোবাদি পশুসহ আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মশার কয়েল থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ লুৎফর রহমান জানান, আগুন আমার ঘরবাড়ি, গোয়ালঘর, রান্নাঘর, ১টা গরু, ৩ টাকা ছাগল, নগদ ৪০ হাজার টাকা, আসবাবপত্রসহ সব পুড়ে গেছে। তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কোথায় যাবেন কি করবেন, এ নিয়ে এখন তিনি দিশেহারা। ক্ষতিগ্রস্থ গরুর ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন জানান, আগুনে তার নগদ দেড়লক্ষ টাকাসহ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় বসবাস করবেন সংসার কি করে চালাবেন। কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এলাকাবাসীদের সহযোগীতায় প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে আটটি পরিবারের সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গোয়ালঘরে জ্বালানো মশার কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। গ্রতিগ্রস্থ পরিবারকে সরকারি সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।