কালচারাল অফিসার সুজন রহমান কর্তৃত্বের অপব্যবহার করছেন। সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়া গুণীশিল্পীর কদর করে না। অযোগ্য শিল্পীদের নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী বৃন্দতৈরি হচ্ছে। তথ্যানুসারে,সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়া কতটুকু গুণী শিল্পীদের সংস্কৃতি চর্চা করছে। কুষ্টিয়া জেলা কালচারাল অফিসার সুজন রহমানের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের পাহাড়। গুণী শিল্পীরা শিল্পকলা একাডেমীর প্ল্যাটফর্ম পেতে ব্যর্থ । সুজন রহমান ভালো শিল্পীদের যে কোন অনুষ্ঠান থেকে আড়ালে রেখেছেন। তার কিছু ছাত্র-ছাত্রী বাদে ব্যান্ড শিল্পী এবং গুণী শিল্পীদের শিল্পকলায় যে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে / বক্তব্য পেশ করতে বাধা গ্রস্ত করেন। তার নির্ধারিত কয়েকজন শিল্পী বাদে কেউ শিল্পকলার কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে না। কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা বা কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা শিল্পকলাকে তিনি আত্মীয়করণ করে ফেলেছেন। শিল্পকলার স্টাফদের দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত কাজ করানো তার প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ভুয়া বিল ভাউচার করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধেে। একাধিক সূত্র জানায়, সুজন রহমান কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে সে নিজে, তার স্বজন ও তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘হিন্দোল’ এর শিল্পী এবং অনুসারী শিল্পীদেরকে পরিবেশনা করাতে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তারা মনে করেন, শিল্পকলার মতো একটি প্রতিষ্ঠানে কালচারাল অফিসার সুজন রহমানের এমন পক্ষপাতমূলক আচরণ অশোভনীয়। নির্ধারিত শিল্পীদের পছন্দের নির্ধারিত গান শেষ করে -সময়ের অভাব জানিয়ে অনেককে স্টেজে তোলা হয়নি, বাদ দেয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ, শিল্প কলার অনুস্ঠানে সকলকে সমান মর্যাদা এবং সুযোগ করে দেয়া উচিত। এদিকে প্রায় এক যুগ ধরে একই জেলায় কমর্রত রয়েছেন এই সুজন রহমান। যা সচেতনমহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।অনেকে মনে করেন, সুজন রহমান এক অদৃশ্য শক্তির বলে একই জেলায় বছরের পর বছর কর্মরত রয়েছে। সুবিধা বঞ্চিত শিল্পীদের অভিযোগ, করোনাকালীন সময়ে দুঃস্থ ও অসহায় শিল্পীদের মাঝে সরকারের দেওয়া অনুদানের তালিকায় বারবার নিজ অনুসারীদের নাম প্রদান করেছেন। এছাড়াও তিনি কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীকে নিজের ব্যক্তিগত বাড়ী বানিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, শিল্পকলার স্টাফদের দিয়ে তার ব্যক্তিগত বিভিন্ন কাজ করানো হয়ে থাকে। শিল্পকলার অফিসিয়াল সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যক্তিদের নিয়ে এসে শিল্পকলাতে আতিথেয়তা করানো হয়। যার খরচ শিল্পকলার ভাউচারে তুলে দিয়ে সরকারি অর্থ নষ্ট করেন বলেও জানা গেছে।এর আগে জানা যায় এর আগে ব্রাদার্স অ্যাসোসিয়েশন জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে ব্যবহার অনুষ্ঠান না করতে পারার সম্মতি না পেয়ে অভিযোগ তুলেছিল। এছাড়াও পিঠা উৎসবে নিজের নিকট আত্মীয়দের প্রথম, দ্বিতীয় ঘোষণা করা হয় এবং সম্মাননা প্রদান করেন। সংশ্লিষ্ট কিছুমহল, শিল্পকলা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি তদারকির দাবি জানিয়েছেন।