আন্তেনিও মাতেও লাহোজ -বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ পরিচালনা করা সেই রেফারি ফের আলোচনায়। সেদিন রেকর্ড ১৮টি হলুদ কার্ড দেখানো স্প্যানিশ লা লিগায় ম্যাচ পরিচালনা করতে নেমে ফের বইয়ে দিয়েছেন কার্ডের বন্যা। কাতালান ডার্বি পরিচালনা করতে নেমে দেখিয়েছেন ১৫টি কার্ড। ন্যু ক্যাম্পে যুদ্ধের উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি বার্সেলোনা বা এস্পানিওল কেউই।
লা লিগায় শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) এস্পানিওলের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে জায়ান্ট বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে মার্কোস আলনসোর গোলে এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধে তার ভুলেই গোল খেয়ে বসে। ডিবক্সে তিনি ফাউল করলে পেনাল্টি পায় এস্পানিওল। স্পটকিক থেকে গোল করেন হোসেলু।
অবনমন অঞ্চলে থাকা নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচটি নিরুত্তাপ গতিতেই চলছিল। তবে ৭২ মিনিটে এস্পানিওল পেনাল্টি পাওয়ার পরই উত্তাপ ছড়াতে থাকে মাঠে। স্বরূপে ফেরেন রেফারি মাতেও লাহোজও। দেখাতে থাকেন একের পর এক কার্ড। সব মিলিয়ে বার্সেলোনা হলুদ কার্ড দেখেছে ৮টি, এস্পানিওল ৫টি। দুদলেরই একজন করে দেখেছেন লালকার্ড। বার্সার জার্সিতে ৩০০তম ম্যাচ খেলতে নেমে দুই হলুদ কার্ডের খড়গে পড়ে মাঠ ছাড়েন লেফটব্যাক জর্দি আলবা। এস্পানিওলের হয়ে লাল কার্ড দেখেন মিডফিল্ডার ভিনিসিউস সোসার।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই আলনসোর গোলে লিড নেয় বার্সা। গোটা ম্যাচে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও আর গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। গোটা ম্যাচে ৭৭ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা বার্সেলোনা গোলের জন্য নেয় ২১ শট, যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে চারটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখে এস্পানিওল। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরে দলটি।
এই ড্রয়ে ১৫ ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদের সমান ৩৮ পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে শীর্ষে থাকল কাতালান ক্লাবটি। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে এস্পানিওল।