মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। চলতি বছর ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। আর ২ হাজার ৯৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টার পর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চামেলি হলে শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ফলাফল থেকে জানা গেছে, এ বছর মোট পাসের হার ৮৭.৪৪ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৩.৫৮ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ কম। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী।
এ বছর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৯০.০৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৯১.২৮ শতাংশ, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯৫.১৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৮৯.৬১ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৭৮.৮২ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৮১.১৬ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৯.০২ শতাংশ।
এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৮২.২২ ও কারিগরী শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৮৯.৫৫ শতাংশ।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ১৬ লাখ।
করোনা ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।