1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি | Bastob Chitro24
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

এনআইডি সংশোধনে ভোগান্তি

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২

নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে ইসি’র ১২টি নির্দেশনা উপজেলা ও জেলা অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি ও সংশোধনে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট : টাকা না দিলে মাসের পর মাস ঘুরতে হয়

দেশের নাগরিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কার্ড এখন জাতীয় পরিচয়পত্র। পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে বিদেশ ভ্রমণ, সরকারি অফিসের সকল কাজ, ব্যাংক, বীমা-আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবখানেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এনআইডিতে সামান্য ভুল হলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এতো গুরুত্বপূর্ণ এই কার্ডে ভুল থাকার কারণে প্রতিনিয়তই বাহককে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আর এই ভুল সংশোধন করতে সাধারণ মানুষকে হতে হচ্ছে নানান হয়রানি। মাসের পর মাস ঘুরেও ভুল সংশোধন করা যাচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষের সময় ও অর্থ নষ্ট হচ্ছে। দুর্ভোগ ঠেকাতে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে এনআইডি সেবা তরান্বিত করে নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে মাঠপর্যায়ে ১২টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজই হচ্ছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দিনের পর দিনে ভুল সংশোধন ও নতুন এনআইডি কার্ড করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে ঘুরে সেবা না পেয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছেন নাগরিকরা। আবার অনেকে এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া থাকার কারণে নতুন এনআইডি বা সংশোধন করতে যান না। রাজধানীর বাইরের ভুক্তভোগীদের অনেকেই এনআইডি সেবা পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছেন। আর ঢাকার বাইরের জেলা-উপজেলাগুলো পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। সেখানে উপজেলা ও জেলা অফিসে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি ও সংশোধনের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তাদের হাত দিয়েই এনআইডির কাজ করাতে হবে। তাছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। আর এই সিন্ডিকেট স্থানীয় কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় এই কাজ করেন। এই কাজে কোন কোন মানুষের কাছ থেকে ১ হাজার থেকে ৩০ হাজার পর্যন্ত টাকা নেন। যদি প্রবাসী ব্যক্তি হন তাহলে তার পাসপোর্ট ও এনআইডি কার্ডে কোন ভুল থাকে তাহলে সেই অঙ্ক আরও অনেক বেশি হয়।

এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন অপরিসীম। এনআইডিতে ভুল বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ভুল সংশোধন নিয়ে অনেকেই আসছেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগরিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেনা হয়েছে।

জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে রয়েছে নানা ধরণের সমস্যা। একেক জনের একেক সমস্যা। কারো নামে ভুল, কারো বাবা-মায়ের নামে, কারো ঠিকানা ভুল, কারো বয়স ঠিক নেই। এছাড়াও দেখা গেছে কারো বাবার নামের স্থলে স্বামীর নাম, কারো স্বামীর বয়সের চেয়ে স্ত্রীর বয়স কার্ডে উঠে গেছে বেশি। এসব সমস্যা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া জানেন না বেশিরভাগ ভুক্তভোগী। আবেদন প্রক্রিয়া জানা না থাকায় বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই এনআইডি সংশোধন করতে চলে আসছেন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের প্রধান কার্যালয়ে। অনেকেই স্থানীয় এলাকায় কম্পিউটারের দোকানের লোকজনের সাথে হাজার হাজার টাকায় চুক্তি করে প্রতারিত হচ্ছেন। অনেকে স্থানীয় জেলা-উপজেলা কার্যালয়ে গিয়ে দিনের পর দিন ঘুরছেন। অনেক বিড়ম্বনা ও জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও অনেকের সংশোধনেও ভুল আসছে। এমনকি সংশোধিত এনআইডি কার্ডের সব তথ্য সঠিক থাকলেও জন্মস্থানের দেয়া হয়েছে অন্য দেশের নাম। এমনই এক ঘটনা ঘটে মৌলভীবাজারের একজনের এনআইডি সংশোধনের পর দেখা যায় তার জন্মস্থান ভেনেজুয়েলা।

প্রথম দিকে অনেকে এনআইডি কার্ড করার সময় নিজ এলাকার বাইরে ছিলেন। কিন্তু এখন তারা পূর্বের এলাকা পরিবর্তন করতে চান। এতেও দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে সংশোধনের জন্য। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ব্যাংকে গিয়েছেন এক গ্রাহক। কিন্তু তারা নাম ও আইডি নম্বর দিলে ম্যাচ করেনি বলে জানিয়ে দেন প্রতিষ্ঠানটির অফিসার। বড় বিপাকে পড়ে এখন তিনি এনআইডি সংশোধনের জন্য চেষ্টা করছেন। এসব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই। আর নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য এনআইডি বাধ্যতামূলক করার পর বিগত নির্বাচনে খোদ সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত নাগরিকদের তথ্য পুরোপুরি হালনাগাদ করা হয়নি। প্রথমদিকে দেয়া অনেক তথ্যই এখন পুরাতন হয়ে গেছে। সংশোধনে দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে নাগরিকদের। নাগরিক ভোগান্তি দূর করতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির সেবা কার্যক্রম। জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন, হারানো কার্ড উত্তোলন এবং নতুন কার্ড মুদ্রণে উপজেলা অফিস, জেলা অফিস, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগের (এনআইডি) কার কী ক্ষমতা তাও নির্ধারিত করা হয় প্রজ্ঞাপনে। তারপরও যেন ভোগান্তি কমছেই না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন আগে এনআইডি করার কারণে এতো দিনে অনেকের ব্যক্তিগত অবস্থার পরিবর্তন এসেছে। অনেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বৈবাহিক অবস্থা, পেশাগত অবস্থা এসব তথ্য স্বাভাবিকভাবেই পাল্টে গেছে। অনেকের বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে, ঠিকানা বদল হয়েছে। কিন্তু এসব তথ্য হালনাগাদ না করার কারণেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আর সহজে হালনাগাদ না করতে পারার কারণেও দুর্ভোগ বাড়ছে নাগরিকদের। যারা শিক্ষিত বা সনদধারী তাদের এনআইডিতে ভুল কম। কিন্তু যারা সনদধারী নন বা অশিক্ষিত তাদের এনআইডিতে ভুল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এক জন সেবাগ্রহীতা অনলাইনে এনআইডি সংশোধন করলে স্বাভাবিকভাবে সেবা মেলে না। এনআইডি সংশোধনের জন্য তদবির করতে হয় প্রতিনিয়ত। তদবির ছাড়া এনআইডির ফাইল নড়ে না।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে নাগরিকের তথ্যে গরমিল ও অসংগতি দেখা যায়। কারণ ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ করার সময় ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ ও তা লিপিবদ্ধ করা এবং দ্বিতীয় ধাপে চোখের আইরিশ, ফিঙ্গারসহ ছবি তুলে আগের তথ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে জাতীয় ভোটার তথ্যভান্ডারে আপলোড করা। আপলোডের সময় তথ্যে গরমিল হতে পারে। তবে সংশোধনের জন্য আবেদন করলে তা যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই শেষে সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে অযৌক্তিক দলিলাদি না চাওয়া নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন রাখা থেকেও বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন। এতে এনআইডি সেবা তরান্বিত করে নাগরিকদের ভোগান্তি কমাতে মাঠপর্যায়ে ১২টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যই ছিল নাগরিক সেবা আরও সহজ ও গতিশীল করা। সে লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে ক, খ, ও গ ক্যাটাগরির সংশোধনের আবেদনসমূহ সংযুক্ত দলিলাদি যাচাই-বাছাই ও প্রয়োজনানুসারে তদন্ত করে আবেদন নিষ্পত্তি (অনুমোদন/বাতিল) করে নাগরিক সেবাকে গতিশীল করার নিমিত্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি সামনে রেখেই এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার আওতাভুক্ত ক্যাটাগরির আবেদন পরীক্ষা করে নিজেই নিষ্পত্তি করবে। এ জন্য যথাযথ শিক্ষাসনদ, জন্মসনদ বা অন্য যৌক্তিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও অযৌক্তিকভাবে কোনো কাগজপত্র চাওয়া যাবে না।

নির্দেশনাগুলো হলো- নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তার আওতাভুক্ত (ক, খ, গ) ক্যাটাগরির আবেদনসমূহ পরীক্ষান্তে নিজেই নিষ্পত্তি (অনুমোদন/বাতিল) করতে পারবেন। যথাযথ শিক্ষা সনদ, জন্ম সনদ বা অন্যান্য যৌক্তিক প্রয়োজনীয় দলিলাদি থাকা সত্ত্বেও অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত দলিলাদি চাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের আবেদন অনিষ্পন্ন রাখা হতে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে শুনানী গ্রহণ ও দাখিল করা যৌক্তিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ তার আওতাধীন আবেদনসমূহ নিষ্পত্তি (অনুমোদন/বাতিল) করতে হবে। মাঠপর্যায়ে সব ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সপ্তাহে ২ (দুই) দিন শুনানী গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। শুনানী প্রদানের তারিখের পরবর্তী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। ক্যাটাগরি বিভাজনের পর হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তার এখতিয়ারভুক্ত সংশোধনের আবেদনগুলো ক্যাটাগরি ক ৭ কার্য দিবস, ক্যাটাগরি খ ১৫ কার্য দিবস ও ক্যাটাগরি গ ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে নিষ্পন্ন করবেন। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা তার আওতাধীন যে সব আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যর্থ হবেন, সে সব আবেদনসমূহের সংশ্লিষ্ট দলিলাদি, তদন্ত প্রতিবেদন এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা সুস্পষ্ট মতামতসহ আবেদনসমূহ নিষ্পত্তির জন্য মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বরাবর প্রেরণ করবেন। এক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনের আলোকে ‘গ’ ক্যাটাগরি থেকে ‹ঘ› ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের সুপারিশ করতে পারবেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে তার কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারে ইউজার অ্যাকাউন্টটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে। সংশোধনের আবেদন নিষ্পন্নের বিষয়টি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকবে। সব প্রকার লগ এনআইডি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে, এতে প্রত্যেক ইউজার তার কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় থাকবে। যে সব নাগরিক অনলাইনে আবেদন করতে অসমর্থ হবেন তাদের উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে অনলাইনে আবেদনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করতে হবে। হেল্প ডেস্ক অনলাইন আবেদন সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ ও সংশোধন সংশ্লিষ্ট যৌক্তিক দলিলাদির বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করবে। এছাড়া জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে আবেদনের ক্যাটাগরি বিভাজন করার ক্ষেত্রে অঞ্চল ভিত্তিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।

ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম। তার জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়সে ভুল হয়েছে। কিন্তু পাসপোর্টের সাথে এনআইডি কার্ডে ৭ বছরের গড়মিল এখন অফিসের কয়েকজনের সাথে কথা বলে সংশোধনের কোন প্রক্রিয়া করতে পারেননি বলে জানান তিনি। এখন আবার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে চেষ্টা করবেন। যদি সংশোধন না হয় তাহলে তাকে খুবই দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে জানান তিনি।

সউদী প্রবাসী আবু সাইদ শ্যামল ইনকিলাবকে বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টে বয়স আলাদা। ৬ মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। এরমধ্যে পাসপোর্টের মেয়াদ চলে যাবে। নতুন পাসপোর্ট করার জন্য গেলে জানানো হয় এনআইডি কার্ড অবশ্যই লাগবে। এখন আমার এনআইডি কার্ডের সাহায্যে পাসপোর্ট করা যাচ্ছে না। তাই ছুটি না কাটিয়েই সউদী চলে যাবো। সেখানে গিয়ে নতুন পাসপোর্ট করার জন্য জমা দেব।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি