1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
ই-কমার্স প্রতারণা নতুন কাপড়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে ছেঁড়া কাপড় ডেলিভারি | Bastob Chitro24
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ন

ই-কমার্স প্রতারণা নতুন কাপড়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে ছেঁড়া কাপড় ডেলিভারি

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২

ই-কমার্স প্রতারণা চক্রের দলনেতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চক্রটি ৫-৬ বছর ধরে অনলাইনে ১৭টি পেজ খুলে নতুন শাড়ি, থ্রি পিসের বিজ্ঞাপন দিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে ছেঁড়া, অযোগ্য ও নষ্ট পুরনো কাপড় ডেলিভারি দিতো। সারা দেশে বিভিন্ন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার নিয়ে এসএ পরিবহনের লেবারদের মাধ্যমে প্রতিটি বুকিংয়ে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে বুকিং করতো। অনলাইনে মানুষকে কমদামে এসব পণ্যের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে তারা মাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা আয় করতো। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. বাপ্পি হাসান, মো. আরিফুল ওরফে হারিসুল, মো. সোহাগ হোসেন, মো. বিপ্লব শেখ ও নূর মোহাম্মদ। গতকাল ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ব্যবহার অযোগ্য ও অতি নিম্ন্নমানের পুরাতন ও ছেঁড়া শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন পণ্য উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে চক্রের দলনেতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

তারা হাজারীবাগ থানাধীন একটি বাড়ির ৪র্থ তলার ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ৪-৫ জন অনলাইনের মাধ্যমে ফেইসবুকে পেইজ খুলে ভালো মানের পণ্যের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশব্যাপী বিভিন্ন গ্রাহকের চাহিদা মোতাবেক অর্ডার নিয়ে নিম্নমানের ব্যবহারের অযোগ্য ও নষ্ট মালামাল প্রেরণ করে প্রতারণা করে আসছে। চক্রটি নিম্নমানের অযোগ্য ও নষ্ট মালামাল সহ উক্ত ফ্ল্যাটে অবস্থান করেছিল।
রাজীব আল মাসুদ বলেন, চক্রের দলনেতাসহ পাঁচজনকে রাজধানীর হাজারীবাগ থানা এলাকার পশ্চিম ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজারীবাগ থানার পশ্চিম ধানমন্ডির একটি বাড়িতে বসে এই অনলাইন চক্রের সদস্যরা ফেসবুকে পেজ খুলে ভালো মানের পণ্যের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেয়। এসব বিজ্ঞাপন দেখে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার আসে। অর্ডার পাওয়ার পর মানুষকে নিম্নমানের, ব্যবহারের অযোগ্য ও নষ্ট মালামাল কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা একটি পেজ কিছুদিন ব্যবহার করার পর বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবার নতুন পেজ খুলে একইভাবে প্রতারণা করে। চক্রটি প্রতিমাসে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা আয় করতো। ৫-৬ বছর ধরে তারা এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। এসএ পরিবহনের বুকিংম্যান ও লেবারদের মাধ্যমে প্রতিটি বুকিংয়ে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে নিয়ম-বহির্ভূতভাবে বুকিং করতো।
তিনি আরও বলেন, দুইটি ডিভাইস সহ তাদের হেফাজতে থাকা কালো রঙের একটি ল্যাপটপ এর মাধ্যমে তারা পেইজগুলোতে সচল থাকতো। তাদের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি