1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
১৯ হাজার কোটি টাকার জোগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের | Bastob Chitro24
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

১৯ হাজার কোটি টাকার জোগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২

ব্যাংকের আমানত ও রেমিট্যান্সে নিম্নগতি

সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোকে নগদ টাকার জোগান দিতে তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১৬ দিনে ১৯ হাজার কোটি টাকার জোগান দিয়েছে।

৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে ব্যাংকগুলোকে ওই সহায়তা দেওয়া হয়। তবে ব্যাংকগুলোতে এখনও তারল্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেনি। সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতে ২ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। এগুলোর একটি অংশ বিভিন্ন বন্ডে বিনিয়োগ করা। আর কিছু ব্যাংক তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সংকটে পড়েছে।

সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক থেকে মানুষের টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে নতুন আমানত রাখার হার কমায় সঞ্চয়ের হার কমে গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সও কমেছে। এদিকে আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কিনছে। এতেও ব্যাংকগুলোর টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে পড়েছে। বেড়েছে ঋণের প্রবাহও। এসব কারণে কিছু ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে।

এছাড়া আসন্ন রোজার ঈদে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ে। এই সময়ে গ্রাহকরা বেশি মাত্রায় নগদ টাকা তুলে নেন। করোনার সংকট মোকাবিলায় টাকার প্রবাহও বাড়ানোর পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে চাহিদা অনুযায়ী টাকার জোগান দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলো যে টাকা চাচ্ছে, তাতে কোনো কাটছাঁট করছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চাহিদা অনুযায়ীই টাকার জোগান দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ১৮ এপ্রিল দুটি উপকরণের মাধ্যমে ১৯টি ব্যাংককে ৪ হাজার ৩৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ১৭ এপ্রিল ৪ হাজার ৯৩১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, ১৩ এপ্রিল ৩ হাজার ৪৩৯ কোটি ৪ লাখ টাকা, ১০ এপ্রিল ৫৫১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৭ এপ্রিল ৬৯৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ৬ এপ্রিল ৯২৪ কোটি টাকা, ৫ এপ্রিল ১ হাজার ৯০০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, ৪ এপ্রিল ১ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা এবং ৩ এপ্রিল ৯৭৭ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই ফেব্রুয়ারিতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে ৮৭ শতাংশ। এর বিপরীতে আমানত প্রবাহ কমেছে ৫০ শতাংশ। ঋণ ও আমানতের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হলে ঋণের চেয়ে আমানত বাড়তে হয় বেশি। কেননা আমানতের পুরো অর্থ ঋণ বিতরণ করা যায় না। ১৫ থেকে ১২ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গ্রাহকদের নিরাপত্তার জন্য জমা রাখতে হয়।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকিং খাতে আমানত কমেছে ৫০ শতাংশ। এদিকে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে ৮৭ শতাংশ। ফলে এখানে বড় অঙ্কের ঘাটতি রয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দিয়ে তারল্য বাড়ে ব্যাংকে। কিন্তু রেমিট্যান্স কমায় তারল্য কমেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে রেমিট্যান্স কমেছে ১৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই ফেব্রুয়ারিতে আমদানি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। এলসি খোলা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। রেমিট্যান্স কমায় আমদানির দেনা শোধ করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে পর্যাপ্ত ডলার নেই। ফলে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কিনছে। চলতি অর্থবছরের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৮০০ কোটি ডলার কিনেছে বাণিজ্যক ব্যাংক থেকে। এর বিপরীতে প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা আটকে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।

এদিকে নানা প্রয়োজনে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪১ শতাংশ বেশি নগদ অর্থ তুলেছেন। মার্চ ও এপ্রিলে রোজা ও ঈদের কারণে টাকা তোলার হার আরও বাড়বে। কেননা ঈদের সময়ে গ্রাহকের নগদ টাকার বেশি প্রয়োজন হয়। এদিকে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ায় কলমানির সুদের হারও বেড়ে গেছে। এক বছর আগে এ হার দেড় শতাংশের নিচে ছিল। ৬ মাস আগে ২ শতাংশের মধ্যে ছিল তা বেড়ে প্রায় ৭ শতাংশে উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি