বিশ্ব অর্থনীতির পরিধি ২০২০ সালে ছিল ৮৮ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, ২০২২ সালেই বিশ্ব অর্থনীতির আকৃতি (গ্লোবাল জিডিপি) হবে ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলার। আর এই ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলার গ্লোবাল জিডিপিতে আইএমএফ’র তথ্যের ভিত্তিতে দেশভিত্তিক অবস্থানের ওপর ১৯১ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে কানাডাভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট।
তালিকায় শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি ২৫ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন, যা বৈশ্বিক মোট জিডিপির চার ভাগের এক ভাগ। ১৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে এর পরের অবস্থানই চীনের, যা বৈশ্বিক জিডিপির পাঁচ ভাগের এক ভাগ। ৪ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে জাপানের অবস্থান তিন নম্বরে। তবে এই তালিকায় ৩৯৭ বিলিয়ন ডলার জিডিপি নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারতই বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে। ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে তালিকায় ভারতের অবস্থান ছয়ে। জিডিপির ভিত্তিতে শীর্ষ ৫০-এ দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো দেশ নেই। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে সবচেয়ে বেশি জিডিপি জার্মানির। ৩ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে এরপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে জার্মানিতে রুশ গ্যাস বন্ধের আশঙ্কায় ইউরোপের এই পাওয়ার হাউস অর্থনীতি ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে সবার ওপরে ব্রাজিল। তালিকায় দেশটির অবস্থান ১০-এ। সাম্প্রতিক ইউক্রেন যুদ্ধ এই দেশটিতেও প্রভাব ফেলেছে। ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে ব্রাজিলে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে সস্তায় জ্বালানি তেল ও সার আমদানির চুক্তি করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে দেশটি।
আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ৫১১ বিলিয়ন ডলার নিয়ে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ নাইজেরিয়া। তালিকায় দেশটির অবস্থান ৩১তম। এরপরেই ৪৩৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ৩৫তম মিসর এবং ৪২৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে ৩৬তম। তালিকায় সবচেয়ে কম ৬৬ মিলিয়ন ডলারের জিডিপি তুয়াভালুর।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মহামারি-পরবর্তী বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির উন্নতির যে আশা করা হয়েছিল তা চাপা পড়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সংঘাত, সরবরাহ ব্যবস্থায় বাধা এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনুমানগুলো নিচের দিকে সংশোধিত হচ্ছে। ২০২২ সালের জন্য বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধি যেখানে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বলে অনুমান করা হয়েছিল, কিন্তু এখন তা কমিয়ে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ করা হয়েছে।