1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইবি শাখার উদ্যোগে “প্রস্তাবিত বাজেট ২০২২-২৩ এ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক আলোচনা | Bastob Chitro24
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইবি শাখার উদ্যোগে “প্রস্তাবিত বাজেট ২০২২-২৩ এ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২

‘প্রস্তাবিত বাজেট ২০২২-২৩-এ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ; প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি “-শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সকাল ১০টায় ইবি ক্যাম্পাসস্থ টিএসসি ভবনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক প্রতীক কুমার গুণের সভাপতিত্বে এবং মোস্তাসিম জোবায়ের জয়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুইদ রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল -বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক কমরেড জনার্দন দত্ত নান্টু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ।আরো উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক কমরেড শফিউর রহমান শফি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিব রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক লাবনী সুলতানাসহ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারন সম্পাদক আজিজুল হক পিয়াস সহ নেতৃবৃন্দ।
আলোচকবৃন্দ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়ছে তবে তুলনামূলক হারে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সেই বরাদ্দ অতি নগন্য এবং ধীরে ধীরে সেই পরিমাণটা কমছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাজেটে বরাদ্দ ছিলো মোট বাজেটের ২২ ভাগ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সেই পরিমাণ ১৫.২ শতাংশে এসে দাড়ায়। এবং করোনা মহামারির সময়ে দুটি অর্থবছরে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ এ শিক্ষা খাতের বরাদ্দ ছিলো যথাক্রমে ১১.৬৯ শতাংশ এবং ১১.৯২ শতাংশ। সুতরাং দেখা যাচ্ছে বাজেটের আকার যে পরিমাণে বেড়েছে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ তার তুলনায় কমেছে। আজকে ১৯৭২ সালের তুলনায় তিনশতগুণ বড় বাজেটে কতগুণ শিক্ষা খাতের বরাদ্দ বেড়েছে সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য শিক্ষাখাতে বাজেটের ২৫% ও জাতীয় আয়ের ৮% বরাদ্দ করার দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এবং সেই দাবি বরাবরই উপেক্ষিত। একদিকে করোনাকালে শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্লেন্ডেড লার্নিং সিস্টেমের কথা বলা হচ্ছে, তথ্য ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষতা বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে আবার এসকল কাজে ব্যবহৃত পণ্যগুলোর উপর ১০% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এবং ভ্যাট বসানো হচ্ছে। ফলে এই পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি হবে। যা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিসহ জনকল্যাণমুখী খাতগুলোতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ মেলেনি। অথচ এই মুহুর্তে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় মেগাপ্রোজেক্ট এই বাজেটের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পাচারকৃত টাকা ফেরত আনতে নামমাত্র কর দিয়ে সেই টাকাকে বৈধতা দেওয়ার মতো অনৈতিক প্রস্তাব এই বাজেটে রয়েছে। যেটা অত্যন্ত অনৈতিক সিদ্ধান্ত। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের সংকট নিরসনে তাদের বেতন- ফি মওকুফ করা ও ভর্তুকি দেওয়ার কোনো কার্যকরী পরিকল্পনাও শিক্ষা খাতের বরাদ্দে নেই।
৩৫% স্কুলশিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে এবং ১৬% আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারবে না। এইযে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরতে পারছে না তার প্রধান কারণ শিক্ষাখাতে বরাদ্দের অপ্রতুলতা। এই অপ্রতুলতার কারনে বৈশ্বিক জ্ঞানসূচকে ১৫৪ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২০ তম, বৈশ্বিক প্রতিভা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৪ টি দেশের মধ্যে ১২৩ তম, বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ১৩২ টি দেশের মধ্যে ১১৬ তম।অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উদ্দেশ্য গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতের বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় খুবই কম। শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগ না থাকায় নতুন জ্ঞান সৃষ্টির পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এইবিষয়ে গুরুত্ব না দেওয়াটা শাসকশ্রেণীর শিক্ষাবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় দেয়। শিক্ষাখাতকে অবহেলিত রাখা একটা জাতিকে পিছিয়ে রাখার অন্যতম কৌশল। শিক্ষার বিরুদ্ধে শাসকশ্রেণীর এই অবস্থান ও পরিকল্পনার বিপরীতে, শিক্ষাবান্ধব বাজেটের দাবি জানিয়ে ও গণবিরোধী, গতানুগতিক এই বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করে আলোচনা শেষ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি