ঢাকারবিবার , ২৬ জুন ২০২২
  1. #সর্বশেষ সংবাদ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলা
  9. গণমাধ্যম
  10. জাতীয়
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. পজিটিভ বাংলাদেশ
  15. প্রবাস

ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে পদ্মা সেতু বানিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস
জুন ২৬, ২০২২ ৪:২২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়, এটি আমাদের মর্যাদা ও সক্ষমতার প্রতীক। পদ্মা সেতুর জন্য আমি গর্ববোধ করি। বাঙালি আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত, গর্বিত ও উদ্বেলিত। অনেক বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রমত্ত পদ্মার বুকে আজ বহুল কাক্সিক্ষত সেতু দাঁড়িয়ে গেছে। এ সেতু বাংলাদেশের জনগণের। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের আবেগ, আমাদের সৃজনশীলতা, আমাদের সাহসিকতা, সহনশীলতা আর জেদ।

গতকাল শনিবার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানমালার প্রথম অংশে মাওয়া প্রান্তের সুধী সমাবেশ ও শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে আয়োজিত জনসভায় তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্রের ফলে আমাদের সেতু নির্মাণ খানিকটা বিলম্বিত হয়েছে, কিন্তু আমরা হতোদ্যম হইনি। শেষ পর্যন্ত অন্ধকার ভেদ করে আমরা আলোর মুখ দেখেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না’, পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি। তারুণ্যের কবি, দ্রোহের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় তাই বলতে চাই, ‘সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়; জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।’ আমরা মাথা নোয়াইনি। এর আগে গতকাল পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে নামফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তার সাথে ছিলেন, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ দিন। আমরা কিছুক্ষণ আগেই স্বপ্নের সেতুর পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে আসলাম। আলহামদুলিল্লাহ।

জাতির পিতাকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার যাত্রা যখন শুরু করলেন, মাত্র সাড়ে ৩ বছর হাতে সময় পেয়েছিলেন। এ সময়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ করেন। যখন দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তৃণমূল পর্যন্ত ক্ষমতা নিয়ে যান, দুর্ভাগ্য আমাদের জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। রেহানা ও আমি বিদেশে ছিলাম। দেশে আসতে পারিনি। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে সভানেত্রী নির্বাচিত করে। শত বাধা পেরিয়ে আমি আপনাদের মাঝে আসি। আমার লক্ষ্য জাতির পিতার সেই স্বপ্নপূরণ করা। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। দেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করা। অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে আজকে আমরা বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আজকে আমরা বিনাপয়সায় বই দিচ্ছি। প্রতিটি এলাকায় স্কুল করে দিচ্ছি, কলেজ করে দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়ে শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়ে মানুষের ঘরের কাছে চিকিৎসার সেবার ব্যবস্থা করেছি।

দেশের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ওয়াদা ছিল প্রত্যেক ঘরে আলো জ্বলবে। আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ। সবার হাতে মোবাইল ফোন। সবাই আজকে অনলাইনে কেনাবেচা করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। মানুষের জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। উন্নত জীবন যাতে সবাই পায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। এ একটা কারণে বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়েছে। নির্বাচিত হয়েছি এবং এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি।

পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে সরকার প্রধান বলেন, আপনারা জানেন, এই পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সেই ২০০১ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। খালেদা জিয়া এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা ২০০৯ এ সরকারে এসে আবারও পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করি। তখন তারা কী বলেছিল? বলেছিল, আওয়ামী লীগ কোনোদিনও নাকি পদ্মা সেতু করতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসা করি আসুন, দেখে যান পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে কি না? আমাদের অনেক জ্ঞানীগুণী লোক ছিল, অর্থনীতিবিদ, বড় বড় আমলা ছিলেন, সবাই বলেছেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু সম্ভব নয়। আজকে নিজেদের টাকায় কীভাবে করতে পারলাম?

উপস্থিত জনগণকে প্রশ্ন রেখে সরকার প্রধান আরও বলেন, এই বাংলাদেশের জনগণ, আপনারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন। জনগণের শক্তি সব থেকে বড় শক্তি। কী বলেন আপনারা? সেটা বিশ্বাস করেন তো? জনগণের শক্তি বড় শক্তি। আমি সেটাই বিশ্বাস করেছি।

পদ্মা সেতু নির্মাণে ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যখন ড. ইউনূস তার ওই গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থেকে চলে যেতে হলো। ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে তদবির করে, আমেরিকায় তদবির করে, পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিলো। বললো, দুর্নীতি হয়েছে। কে দুর্নীতি করেছে? যে সেতু আমাদের প্রাণের সেতু। যে সেতুর সঙ্গে আমার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য জড়িত, সেই সেতু করতে গিয়ে কেন দুর্নীতি হবে? তারা (বিশ্ব ব্যাংক) টাকা দেয়নি। অথচ দুর্নীতির ষড়যন্ত্র বলে টাকা বন্ধ করে দিলো। আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম, টাকা বন্ধ করেছো ঠিক আছে। বাংলাদেশ বসে থাকবে না। আমরা নিজের টাকায় এই পদ্মা সেতু তৈরি করব। অনেকে অনেকভাবে চেষ্টা করেছে। অনেক কথা বলেছে যে, এ সেতু নাকি আমরা করতেই পারব না। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেওয়ার পর যখন আমি উদ্যোগ নিলাম, আপনাদের সাহস, আপনাদের শক্তি, জনতার শক্তি। সেই শক্তিই ছিল আমার শক্তি। আর সেই শক্তি নিয়েই কাজ করেছিলাম।
অতীতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই পদ্মা নদী খরস্রোতা। এই নদী পার হতে যেয়ে আর কাউকে সন্তান হারাতে হবে না। বাবা-মাকে হারাতে হবে না। ভাইবোনকে হারাতে হবে না। আজকে আপনারা নির্বিঘ্নে চলতে পারবেন। সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। আর যারা বাধা দিয়েছিল, তাদের একটা জবাব আমরা দিয়েছি। তাদেরকে উপযুক্ত একটা জবাব এই পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে আমরা দিতে পারলাম। বাংলাদেশ পারে।

উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আগেই বলেছি, আমার একমাত্র শক্তি আপনারাই। আমার একমাত্র শক্তি বাংলার জনগণ। বাবা-মা-ভাই-বোন সব হারিয়ে নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে ফিরে এসেছিলাম এই বাংলাদেশে। সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে বেরিয়েছি। নৌকায় করে এক-একটা এলাকায় গিয়েছি। কাদা-পানিতে নেমেছি। মিটিং করেছি।

দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে তিনি বলেন, আমরা রাস্তাঘাট-ব্রিজ করেছি। সবার জন্য যোগাযোগ হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চেলের দোয়ারিকা, শিকারপুর, গাবখান থেকে শুরু করে পায়সা পর্যন্ত সেতু বানিয়ে দিয়েছি। যাতে এ এলাকার মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে।

৭ মার্চের ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না।’ এ সময় তিনি সবাইকে করোনার টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

সরকার সারা দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা দেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। এখানেও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে। শিল্পকলকারাখানা হবে। আমাদের ফসল উৎপাদন হবে। সেই ফসল আমরা প্রক্রিয়াজাত করতে পারব। দেশে-বিদেশে রফতানি করতে পারব। আমাদের মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ করে দেশে-বিদেশে রফতানি করতে পারব। বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ ঘুচে যাবে। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। অনন্ত ২১টি জেলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। সেটা আমরা করতে পারব। এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হবে।

সিলেটের বন্যার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, বন্যার সঙ্গে আমাদের বসবাস। সিলেটে বন্যা হয়েছে। আমরা সেখানে ত্রাণ পাঠিয়েছি। এখন বর্ষাকাল। আমাদের এ অঞ্চলে বন্যা হতে পারে। এখন থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আপনারাও প্রস্তুতি নেবেন। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার শক্তি বাংলাদেশ রাখে। বাংলাদেশের জনগণ রাখে। সেই ব্যবস্থাও আপনাদের নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। সব মানুষকে আমরা ঘর তৈরি করে দেবো। আমরা তা দিচ্ছি। পদ্মা সেতু তৈরি করতে গিয়ে যারা জমি দিয়েছেন, তাদের সবাইকে বসবাসের জমি ও ঘর করে দেওয়ার পাশাপাশি জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ঠিক সেইভাবে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে আমরা ঘর করে দেবো। প্রতিটি মানুষ সুন্দরভাবে যাতে বাঁচতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দিতে পারব এবং বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করে জাতির পিতার স্বপ্নপূরণ করব, এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে আপনারা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সমাবেত হয়েছেন। আপনারা সম্মিলত হয়েছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। কেউ রাতে রওনা হয়েছেন। কেউ ভোরে এসে বসে আছেন। কষ্ট শিকার করে এখানে এসেছেন। নাওয়া-খাওয়া সব বাদ দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে আপনারা এই সভায় এসে আমাদের অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন। একটা কথা মনে রাখবেন, এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার বাবা-মা-ভাইয়েরা জীবন দিয়ে গেছেন। আমি ও আমার ছোটবোন বেঁচে আছি। আমাদের পদ্মা সেতু করতে গিয়ে অনেক অসম্মান করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক অপমান করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের উপদেষ্টা, আবুল হোসেন, সচিব মোশাররফ হোসেনসহ অনেককে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অপমান করা হয়েছে। আমার ছেলেমেয়ে জয়-পুতুল। আমার বোনের ছেলে ববিসহ অনেককে কত মানসিক যন্ত্রণা তারা দিয়েছে। কিন্তু আমরা পিছু হটিনি। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, এই সেতু নির্মাণ করব। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করব। আমরা তা করতে পেরেছি। সেই সাহস দিয়েছেন আপনারা, শক্তি দিয়েছেন আপনারা। আমি আপনাদের পাশে আছি।

দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন পড়ে না থাকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আজকে সারা বিশ্ববাপী খাদ্যের অভাব। বাংলাদেশে যেন খাদ্যের অভাব না হয়, সেজন্য যার যেটুকু জমি আছে, যে যা পারেন তাই উৎপাদন করবেন। নিজে খাবেন অপরকে দেবেন। বাজারে পাঠাবেন। এই দেশ আপনাদের। এই দেশ আমাদের। জাতির পিতা দেশ দিয়ে গেছেন। এই দেশকে আমরা গড়ে তুলব উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে। তিনি আরো বলেন, বাবা-মা সব হারিয়ে পেয়েছি আপনাদের। আপনাদের মাঝে খুঁজে পেয়েছি বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ। আপনাদের পাশে আমি আছি। আপনাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত, এই ওয়াদা আমি দিয়ে গেলাম। আপনাদের জন্য প্রয়োজনে আমার নিজের জীবনটা দেবো। সবার কাছে দোয়া চাই, যেন পিতার স্বপ্নপূরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।