অনলাইন ডেস্কঃ
প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশায় গত তিন দিন সূর্যের দেখা নেই ফরিদপুর সদরপুরের চরাঞ্চল ও পদ্মাপাড়ের এলাকাগুলোতে।
শীতের তীব্রতা বাড়ছেই তার সঙ্গে উত্তরের রক্ত হিম করা কনকনকেম
চরাঞ্চলের ভাঙা বেড়ার কাঁচা টিনের ঘর, পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কাঁপছে মানুষ। বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ বয়স্ক ও শিশুরা শীতের কারণে বেশি কষ্ট পাচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশায় মুন্সীরচর ট্রলারঘাটে পেটের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে পদ্মায় ট্রলার নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে জেলে, ট্রলারচালক ও শ্রমিকদের। পদ্মাপাড়ের আকটের চর সরকারি গুচ্ছগ্রামের দিনমজুররা ঘর থেকে বের হতে না পেরে অনেক কষ্টে দিন পার করছে।
মুন্সীর চর ট্রলারঘাটে দোহার থেকে আসা ট্রলারচালক আব্দুল হক মিয়া বলেন, ‘গাঙ্গে (পদ্মায়) কুয়াশায় কিছুই দেহা যায় না। কোনো রকমে পার কইরা নিয়া আসলাম।
কী করমু, প্যাট বাঁচাইতে অইব।‘ ট্রলার ঘাটের চা দোকানদার আক্কাছ বলেন, প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বাহির হচ্ছে না। তাই ঘাটে বেশি ট্রলার নাই।
আকটের চর সরকারি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর আয়নাল জানান, শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে পারি নাই।
দিনের চেয়ে রাতে শীতে বেশি কষ্ট পাই। আবার কাজ না করতে পারলে কী খাব সে চিন্তায় আছি।
গুচ্ছগ্রামের আরেক বাসিন্দা রীনা (৫০)। সে প্রতিদিন গুচ্ছগ্রাম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সদরপুরে এসে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে খায়। সেও তার দুঃখের কথা জানাল এভাবে- আমি কাজ করতে পারি না।
মানুষেরা যা কিছু দেয় তা দিয়েই খাই। আমার এখন খুব কষ্ট হয়।
সুত্রঃ কালের কন্ঠ