বিদ্যুৎসংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ খবর ছড়িয়ে পড়ায় চার্জার ফ্যান-লাইটের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জ্বালানি তেলের সংকট কমাতে সরকার এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের ঘোষণার পরই বাজারে এই চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, আকার, মডেল ও মানভেদে এসব ফ্যান-লাইট ২০০ থেকে ৫হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোমবার কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট, ছয় রাস্তার মোড় ও এন এস রোডে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়। অভিযানে চারটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অংকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শারমিন নেওয়াজ দুলাল ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শারমিন নেওয়াজ জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে ইলেকট্রিক পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী তাদের পূর্বে কম দামে কেনা পণ্য অধিক দামে বিক্রয় করছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট, ছয় রাস্তার মোড় ও এন এস রোডের কয়েকটি ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ীকে পুরাতন পণ্যের উপর নতুন অধিক মূল্যের ট্যাগ লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রয় করার অপরাধে দুলাল ইলেকট্রনিকস কে ২হাজার, খাজাবাবা ইলেকট্রিক কে ২হাজার, আল হেলাল করপোরেশন কে ২হাজার এবং রেজন ইলেকট্রনিক্স কে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) জনাব সুলতানা রেবেকা নাসরীন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।