পর্তুগালের বর্তমান ফিফা র্যাঙ্কিং ৯। মরক্কো আছে ২২তম স্থানে। যদিও দুদলের ম্যাচ দেখে বিস্তর ফারাক চোখে খুব একটা পড়েছে বলে মনে হয় না। পর্তুগিজদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লড়েছে তারা। এগিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিল দলটি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই আক্রমণে উঠে পর্তুগাল শিবিরে আরও ভয় ধরিয়েছে।
আল থুমামা স্টেডিয়ামে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) শুরুর দিকেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল পর্তুগাল। মরক্কোর ডি বক্সের কিছুটা দূরে ফ্রি-কিক পায় পর্তুগাল। সেই কিক নেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। উড়ে আসা বলে লাফিয়ে উঠে হেড দেন জোয়াও ফেলিক্স। কিন্তু তার হেডে বল গ্লাভসবন্দি করেন ইয়াসিন বোনো।
ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যদের সামলিয়ে কিছুক্ষণ পর আক্রমণে উঠেছিল মরক্কো। কিন্তু হাকিম জিয়েখের বাঁকানো শট যায় ক্রসবারের অনেকটা বাইরে দিয়ে। পরের সুযোগটিও তৈরি করে মরক্কো। এবার ইউসেফ নেসেরির হেডে বল যায় পর্তুগালের গোলপোস্টের ওপর দিয়ে।
৪২ মিনিটে পর্তুগালের জালে বল জড়ায় মরক্কো। এ সময় ভেসে আসা বলে পর্তুগালের গোলরক্ষক কস্তা ও রুবেন দিয়াজের ওপর দিয়ে লাফিয়ে উঠে হেড নেন ইউসেফ নেসেরি। সঙ্গে সঙ্গে উদ্যাপনে মাতে মরক্কো শিবির। বিরতির একটু আগে গোল পেতে পারত পর্তুগিজরা। কিন্তু ফার্নান্দেজের নেয়া হেড মরক্কোর বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
বিরতি থেকে ফিরে এসেও পর্তুগিজ শিবিরে চাপ অব্যাহত রাখে মরক্কো। ৪৯ মিনিটে আরেকটি গোল পেয়ে যেতে পারত তারা। ডি বক্সের বাইরে থেকে জিয়েখের নেয়া ফ্রি-কিক সরাসরি চলে যায় কস্তার বুক বরাবর। পর্তুগিজ গোলরক্ষক বল ধরতে না পারলেও বুকে লেগে সেটি যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। এরপরই বদলি হিসেবে নামেন রোনালদো। মাঠে নেমেই আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। বাম প্রান্ত থেকে তার নেয়া শট যাচ্ছিল দূরের গোলবারের দিকে। কিন্তু লাফিয়ে উঠে সেই বল তালুবন্দি করেন বোনো।
৭০ মিনিটে গোলের মোক্ষম সুযোগ তৈরি করেছিল পর্তুগাল। এ সময় মরক্কোর ডি বক্সের বাম প্রান্তে ফ্রি-কিক পায় তারা। সেই ফ্রি কিক নেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। তখন ফাঁকায় থেকেও বলের নাগাল পাননি পর্তুগালের রক্ষণভাগের এক খেলোয়াড়। এর কিছুক্ষণ পর বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টা চালিয়েও গোলের মুখ দেখেনি পর্তুগাল।
৮২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বার্নার্দো সিলভা পাস দেন ডি বক্সের ভেতর থাকা রোনালদোকে। ফিরতি পাসে রোনালদো আবার বল বাড়িয়ে দেন সিলভাকে। তার দুর্দান্ত শট পোস্টের ভেতর দিয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু মরক্কোর গোলরক্ষক লাফিয়ে উঠে হাত ছুঁয়ে দলকে বাঁচান। শেষ দিকে রোনালদো বাঁচাতে পারতেন দলকে। কিন্তু দুই ডিফেন্ডারকে টেক্কা দিয়ে শট নিলেও সেটি চলে যায় বোনোর হাতে। পেপেও পরে রোনালদোর মতো দলকে উদ্ধার করতে পারেননি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে তার হেড যায় লক্ষ্যের সামান্য বাইরে দিয়ে।