ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেট ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় হামলা থেকে রক্ষা মিলেনি রোগী বহনকারী এম্বুলেন্সেরও। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী বহন করা এম্বুলেন্সে হামলা করে তার সব কাঁচ ভেঙে দেয়া হয়। হামলাকারীদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছে এম্বুলেন্সে থাকা রোগীও। তার মাথা ফেটে গেছে।
গতকাল দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে অবস্থান নেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ভাঙচুরের শিকার একটি এম্বুলেন্স আসে সেখানে। এম্বুলেন্সের চালকের সহকারী সাইফুল ইসলাম চিৎকার করে বলতে থাকেন, আমি এর বিচার চাই। ক্ষতিপূরণ চাই।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে রোগী নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে যাওয়ার কথা চাঁদপুরে। সায়েন্স ল্যাব মোড়ে আসার পর প্রথমে আমাদের এম্বুলেন্স আটকায়। ছাত্রদের কাছে রোগীর কথা বলার পর আমাদের যেতে দেয়। এরপর নিউমার্কেটের দিকে যাওয়ার পর দোকানিরা গাড়ি ভাঙচুর করেছে। রোগীর মাথায় ইট লেগে মাথা ফেটে যায়। এরপর রোগীকে পদ্মা হাসপাতালে রেখে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা রোগীর সেবা করি। দিনরাত্রি খাটি। আমাদের গাড়ির ওপর কেন হামলা করা হবে? আমরা সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই। ক্ষতিপূরণ চাই।
এম্বুলেন্স চালক মো. জাহাঙ্গীর বলেন, প্রথমে ছাত্ররা গাড়ি আটকায়। এরপর তারা ছেড়ে দিয়ে বলে, আপনার গাড়ির ইমার্জেন্সি রোগী আছে আপনি চলে যান। যখন নিউ মার্কেটের সামনে যাই চারদিক থেকে লোকজন আইসা আমার গাড়ি ভাঙচুর করা শুরু করে। আমি কাগজ দেখাইছি। আমার গাড়িতে রোগী আছে। এরপরও আমারে মাইর দিছে। হঠাৎ একটা ঢিল এসে রোগীর মাথায় লাগে। এরপর তাড়াহুড়া করে রোগীকে পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে দিয়ে এসেছি।