1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে | Bastob Chitro24
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন

যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেছেন তাতে বিভিন্ন পণ্যের সম্পূরক শুল্ক, আমদানিশুল্ক অথবা মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) বাড়ানো হয়েছে। এতে এসব পণ্য আমদানিতে ব্যয় বাড়তে বাড়তে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে বাড়তি কর দিতে হবে। ফলে দাম বাড়তে পারে। যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে তার তালিকা দেয়া হলো।

ফ্রিজ : রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে অব্যাহতি প্রত্যাহার করে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে ফ্রিজের দাম বাড়তে পারে। অবশ্য ফ্রিজ তৈরির উপকরণ ও যন্ত্রাংশ আমদানি এবং স্থানীয় ক্রয়ের ক্ষেত্রে কর ছাড় সুবিধা রয়েছে। তা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

রেলের টিকিট
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত/তাপানুকুল সার্ভিসের পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির রেলওয়ে সেবার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে টিকিটের দাম বাড়বে।

বিলাসবহুল মোটরসাইকেট
আমদানিকৃত ২৫০ সিসির বেশি মোটরসাইকেলের ওপর শুল্ককর বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এই প্রস্তাব বায়স্তবায়ন হলে আগামীতে মোটরসাইকেলের দাম বাড়বে। বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে ২৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল প্রস্তুত কারখানা গড়ে উঠেছে। এ পণ্য আমদানিতে বর্তমানে কোনো সম্পূরক শুল্ক আরোপিত নেই। অপরদিকে ২৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত রয়েছে। তাই ২৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন মোটরসাইকেল আমদানিতে ফোর স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০০ শতাংশ ও টু স্ট্রোকের ক্ষেত্রে ২৫০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করছি।

মুঠোফোন
মুঠোফোন সেটের ব্যবসায়ী পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে মুঠোফোনের দাম বাড়তে পারে।

টেস্টিং কিট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, পিপিই
প্রস্তাবিত বাজেটে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ভ‚মিকা রাখা পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন ও প্রস্তুত করার কাঁচামাল আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক ও কর মওকুফের সুবিধা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে ভ‚মিকা রাখা এসব পণ্য সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে-টেস্টিং কিট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) এবং করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে আরটি-পিসিআর কিট। এ প্রস্তাব অনুমোদন হলে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ভ‚মিকা রাখা এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

পনির
বাটার ও চিজ বা পনির পণ্য দুটি সমজাতীয় উল্লেখ করে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাটার আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্প‚রক শুল্ক বিদ্যমান থাকলেও চিজ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক আরোপিত নেই। তাই বাটারের মতো চিজ আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

কফি
প্রক্রিয়াজাত ও রেডি টু কনজিউম কফি আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

মুঠোফোনের বিদেশি চার্জার
দেশে উৎপাদিত মুঠোফোন উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আরও বিকশিত করার লক্ষ্যে বিদেশি চার্জারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

দেশলাই
বর্তমানে দেশে গ্যাস লাইটার বা দেশলাই উৎপাদিত হচ্ছে। তাই দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার জন্য পণ্যটি আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই বিবেচনায় লাইটারের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র
বাসাবাড়িতে পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য ব্যবহৃত ওয়াটার পিউরিফায়ারের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

ক্যাশ রেজিস্ট্রার
ব্যবসার ক্যাশ রেজিস্ট্রার আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ। অপরদিকে টিকিট ক্যালকুলেটিং যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ। মেশিন দুটি প্রায় একই ধরনের হওয়ায় শুল্কহার সামঞ্জস্যপ‚র্ণ হওয়া প্রয়োজন। তাই ক্যাশ রেজিস্ট্রারের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বিদেশি পাখি
বর্তমানে দেশে পাখি আমদানি হচ্ছে। উক্ত পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে। পাখিগুলো বিলাসবহুল বিধায় আলোচ্য ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ল্যাপটপ
ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে মূসক অব্যাহতি রয়েছে। ফলে দেশীয় কম্পিউটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ল্যাপটপ কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পণ্যটি আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মোট করভার হবে ৩১ শতাংশ। দেশীয় উৎপাদনে আগ্রহী করে তুলতে বাড়ানো হয়েছে কম্পিউটার আমদানির ওপর শুল্ক।

গাড়ি
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূরক শুল্ক অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। এতে করে এবার গাড়ির দাম বাড়তে পারে।

বিড়ি-সিগারেট
কম বা বেশি দামি-সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিড়ির দামও। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেট ও বিড়ির শুল্ক কর বাড়ানো হয়েছে। আর তাতেই বিড়ি-সিগারেটের দাম বাড়তে পারে। সিগারেট ও বিড়ির পাশাপাশি ধোয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাবিত বাজটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রগতির জন্য জ্ঞানের (প্রজ্ঞা) পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকপণ্যের ব্যবহার বাড়বে, সরকারের স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়বে এবং অতিরিক্ত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ বাজেটে তামাকবিরোধীদের কোন দাবি আমলে নেয়া হয়নি এবং এটি একইসাথে প্রধানমন্ত্রীর তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

অন্যান্য
আরও কিছু পণ্যে কর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সব পণ্যের দাম বাড়তে পারে। এর মধ্যে রয়েছে প্রিন্টিং প্লেট, লিফট, সোলার প্যানেল, মিটার, কাগজের কাপ-প্লেট, জিআই ফিটিংস, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, কম্পিউটার প্রিন্টার, ল্যাপটপ, টোনার, চেয়ারের পণ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি