1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
মেগা ৮ প্রকল্পে খরচ ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা | Bastob Chitro24
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন

মেগা ৮ প্রকল্পে খরচ ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২

গড় অগ্রগতি ৭২ শতাংশ, প্রথমে পর্দা উঠছে পদ্মা সেতুর

আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প। এটিসহ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা মেগা ৮ প্রকল্পের গড় ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৪১ শতাংশ।

বাস্তবায়নে সবচেয়ে এগিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প। এছাড়া কম অগ্রগতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে। প্রকল্পগুলোর অনুকূলে এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। তবে এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা। গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত ফাস্টট্র্যাক অগ্রগতি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রকল্পগুলো হচ্ছে-পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প।

এ প্রসঙ্গে আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘ফাস্টট্র্যাকভুক্ত প্রকল্পগুলো প্রতি চার মাস পরপর সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এটা শক্তিশালী মনিটরিং কার্যক্রমের একটা অংশ। এ প্রতিবেদনটি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফাস্টট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্সের কাছে পাঠানো হয়। টাস্কফোর্সের সভায় এগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। ফলে বোঝা যায় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কী অবস্থায় আছে। আইএমইডি সব প্রকল্পই মনিটরিং করে। কিন্তু এগুলোর প্রতি আলাদা গুরুত্ব থাকে।’

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে এখন আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হচ্ছে। গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির আওতায় ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৩৪০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেতুটি। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটির বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০১৬ সালের জুলাই মাসে। মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৫১ হাজার ২৯২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৪৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

মেট্রোরেল প্রকল্পটি ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। শুরু থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮১ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮৭ শতাংশ। তবে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশ পরবর্তীতে যোগ হওয়ায় এ অংশ নির্মাণে প্রকল্পটি সংশোধন করার কারণে ব্যয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পটি ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। গত এপ্রিল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২২ হাজার ৬৮০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এছাড়া ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৫৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এটি। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা। এপ্রিল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার ৩৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৫৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। আর্থিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৭৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এছাড়া ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি ৪ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ১৬২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৭২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ।

দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটি ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুনে (চলতি মাসে) শেষ হওয়ার কথা। গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৪৮৩ কোটি ৫৩৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৭০ শতাংশ।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান এর আগে যুগান্তরকে বলেন, ‘৬ মাস আগে থেকেই প্রকল্পটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনে সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি, ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ থাকাকালেই সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি