ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলাতে বছরের পর বছর ধরে ভেজাল গুড়ের কারখানা মেসার্স দিলীপ ট্রেডার্স ভেজাল গুড় তৈরি করে আসছে। এক প্রকার প্রশাসন কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে চলে তাদের কারবার। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। বেশ কয়েকবার হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। একাধিক বার সীলগালা করা হয়েছে কারখানাটি। সর্বশেষ (২৩ শে জানুয়ারি ২০২৪) মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিধান কান্তি হালদারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হলেও এতে কারখানাটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষের ভাস্য লোক দেখানো অভিযান করে উপজেলা প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, কারখানাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নিন্মমানের চিনির সাথে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে ভেজাল আঁখের গুড় তৈরীর । প্রতিষ্ঠানের প্রধান দিলীপ বিশ্বাস সষ্ঠী ও তার ভাই রাজকুমার বিশ্বাস এই সব পরিচালনা করে থাকেন। এর পরেও অদৃশ্য শক্তির বলে বারবার পাড় পেয়ে যায় ভেজাল কারবারিরা। এবং পূনরায় শুরু করে তাদের ভেজাল কারবার।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খোকসা উপজেলার বাজারের ডাকবাংলো রোডে মেসার্স দিলীপ ট্রেডার্স ও কালীবাড়ি রোডে নিত্য গোপালের ভেজাল গুড়ের কারখানায় চলছে ভেজাল উৎপাদন। চিনির সাথে নাম মাত্র গুড়ের সংমিশ্রণে মানব দেহের ক্ষতিতকারক ক্যামিকেল মিশিয়ে জমাট বাঁধিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। কারখানাটির নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বা বিএসটিআই অনুমোদিত কোন কাগজপত্র। এতো কিছুর পরেও ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে চলে যায়। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন থেকেই যায়।
দিলীপ বিশ্বাস সষ্ঠী বলেন, আমাদের কারখানাটির মধ্যে কোন ভেজাল গুড় তৈরি করা হয় না। আমরা সব নিয়মকানুন মেনে গুড় তৈরি।
নিবার্হি ম্যাজিস্ট্রেট বিধান কান্তি হালদার বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তেমন কোন ভেজাল কিছু পাওয়া যায়নি। তবে কারখানাটির মধ্যে গুড় তৈরির পরিবেশ টা ঘাটতি রয়েছে। কারখানাটির মালিক পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে, তাদের সকল কাগজপত্র নিয়ে অফিসে দেখা করতে বলা হয়েছে।