গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পাওয়ায় ব্রাজিলের শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। ক্যামেরুনের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচটি দাঁড়িয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করার। তবে এই ম্যাচের আগে ব্রাজিল শিবিরে বড় দুঃসংবাদ। হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ব্রাজিলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। ক্যাম্পে এখন করোনা আতঙ্ক। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে হোটেল ছেড়ে বাইরে যাওয়া নিয়ে।
সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই গোড়ালিতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। একই ম্যাচে দল ছিটকে যান রাইটব্যাক দানিলোও। ইনজুরির কারণে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলতে পারেননি তারা দুজন। এমনকি ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও দলে পাওয়া যাবে না তাদের দুজনকে।
ইনজুরির মধ্যেই নতুন করে দেখা দিয়েছে অসুস্থতা। জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন নেইমার। এরপর থেকে ক্রমেই লম্বা হচ্ছে অসুস্থ খেলোয়াড়ের নামের তালিকাটা। আলিসন, অ্যালেক্স সান্দ্রো, অ্যান্টনি, লুকাস পাকুয়েতা, ভিনিসিউস জুনিয়র, রাফিনিয়ারা একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হালকা জ্বর ও গায়ের ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা। কারো আবার যোগ হয়েছে বমি সমস্যা।
কাতারে ব্রাজিল ক্যাম্প এখন ভুগছে করোনা আতঙ্কে। বিশ্বকাপের মধ্যে যদি করোনা সংক্রমণ ফের বাড়া শুরু করে তবে বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা। ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য বলেন, ‘কাতারে কেউ মাস্ক পরছেন না। কোভিড সংক্রমণ ঠেকানোর ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই। এ মুহূর্তে মারণভাইরাসের দাপট অনেকটা কম ঠিকই, কিন্তু আবার যে রক্তচক্ষু দেখাবে না, তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? ‘
কাতারের বৈরি তাপমাত্রা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কাতারে দিনের বেলায় প্রচণ্ড গরম। রাতে তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যাচ্ছে। তার ওপরে স্টেডিয়াম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সমস্যা আরও বাড়ছে।’
এ ম্যাচে গোলপোস্টের নিচে দেখা মিলতে পারে ম্যানসিটির গোলরক্ষক এডারসন বা ওয়েভারটনের মধ্যে যে কোন একজনকে। এছাড়া রক্ষণভাগে ব্রেমার ও দানি আলভেসেরও খেলার কথা আছে। দানি আলভেস এ ম্যাচে ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দেবেন বলে গুঞ্জনও ডানা মেলেছে বাতাসে।