বিশ্বের দেশে দেশে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। তবে চলমান এ বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেই বিশ্ববাজারে চাল, গম, ভুট্টাসহ খাদ্যশস্যের দাম কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় চলতি বছরের ২৩ মার্চ আন্তর্জাতিক বাজারে চাল, গম ও ভুট্টার দাম কমেছে। ভুট্টা ও চালের দাম কমেছে ১ শতাংশ আর গমের দাম কমেছে ২ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক কৃষি মূল্যসূচক ৩ শতাংশ এবং খাদ্য ও রফতানি মূল্যসূচক ২ শতাংশ হারে কমেছে।
আর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুসারে, আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দামের বেঞ্চমার্ক সূচক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কমেছে টানা ১১ মাস।
তবে খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা কমলেও এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় সব নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি ছিল। এর মধ্যে ৮৮ শতাংশ নিম্ন আয়, ৯৩ শতাংশ নিম্নমধ্যম আয় ও ৮৯ শতাংশ উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি রয়েছে।
এমনকি উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মধ্যে ৮৫ দশমিক ৭ শতাংশ দেশ এখন উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন। এরপর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশ।
এদিকে বিশ্ববাজারে এক বছর আগের তুলনায় ভুট্টার দাম ১৩ শতাংশ ও গমের দাম প্রায় ৩৪ শতাংশ কমেছে। তবে ভুট্টা ও গমের দাম কিছুটা কমলেও চালের দাম এখনও বাড়তির দিকে রয়েছে।
গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে চালের দাম। এছাড়া ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের তুলনায় ভুট্টার দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ। পাশাপাশি গমের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) গত বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত খাদ্যসংকটের বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে ২০ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ৪৫টি দেশে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন বলে জানায় সংস্থাটি।
এ জাতীয় আরো খবর..