কয়েকদিনের অব্যাহত বর্ষণ ও উজানের ঢলে দিনাজপুরের নদ-নদীগুলোর পানি বেড়েছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চল ও নদী তীরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একইসঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র হয়েছে ভাঙন। এ অবস্থায় বাড়িঘর ফেলে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন- নদীর পানি বিপৎসীমায় উঠানামা করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দিনাজপুরের বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ঘরবাড়িতেও প্রবেশ করেছে পানি। এছাড়া পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার চিরিরবন্দর এলাকার মাদারগঞ্জ, সাইতারা, খানসামাসহ বেশকিছু এলাকার নদীপাড়ের গাছপালা ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছেন।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার মাদারগঞ্জ বাজারের ফিরোজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় বেশ কিছু নদীর ধারের এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর আগে এভাবে কখনও ভাঙেনি।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভেয়ার মাহাবুব আলম বলেন, ইতোমধ্যে আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানির বিপৎসীমা ৩৯ দশমিক ৫০০ মিটার থাকলেও বর্তমানে ৪০ দশমিক ১৯০ মিটার পানি রয়েছে। পুনর্ভবা নদীর পানির বিপৎসীমা ৩৩ দশমিক ৫০০ মিটার থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৩২ দশমিক ৬০ মিটার। ছোট যমুনার বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৬৫০ মিটার থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ২৬ দশমিক ৩৬০ মিটার। তবে গত ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে এসব নদীর পানি বেড়েছে।
আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় কোনও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। তবে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানান তিনি।