1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
বাজারে হিমসাগর ছাড়া আম নেই, লিচুতে স্বস্তি | Bastob Chitro24
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন

বাজারে হিমসাগর ছাড়া আম নেই, লিচুতে স্বস্তি

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ মে, ২০২২

পাকা আম আসতে শুরু করেছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া বর্তমানে বাজারে আসা দুই-এক জাতের আমের বেশির ভাগই দক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরা ও এর আশপাশের এলাকার। এবার এ জেলায় আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করা হয় ৫ মে থেকে। অন্যদিকে, আমের জন্য বিখ্যাত উত্তরের জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ। এ জেলাগুলোর মধ্যে নওগাঁর আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এক সপ্তাহ আগে গোপালভোগ আম পাড়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবুও রাজধানীতে হিমসাগর ছাড়া অন্য আমের দেখা মিলছে না। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকান দিনাজপুরের মাদ্রাজি ও বেদানা জাতের লিচুতে ভরপুর। তবে, বোম্বাই জাতের লিচু থেকে এ জাতের লিচু আকারে ছোট, তুলনামূলক কম মাংসল ও বিচির আকার বড় হয়ে থাকে। কিন্তু এ লিচুর দাম তুলনামূলক কম থাকায় বিক্রি ভালো।

আম ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আম না পাকায় গোপালভোগ এখনো আসেনি। যদিও এ আমটি পাড়ার সময় নির্ধারণ করা ছিল গত ২০ মে থেকে। বর্তমানে রাজধানীতে মিলছে মেহেরপুর ও সাতক্ষীরার হিমসাগর। পাশাপাশি কিছু গুটি আম রয়েছে। যেগুলো তেমন সু-স্বাদু নয়।

শান্তিনগর বাজারে ক্রেতা সাজ্জাদুল বারী বলেন, আম কিনতে এসেছি। কিন্তু রাজশাহীর গুটি আম ছাড়া অন্য জাতের আম ভালো নেই। সব শুধু হিমসাগর। এটাও ভালো, কিন্তু কিনেছি সেদিন। সেজন্য আর নিলাম না। বর্তমানে লিচুই বেশি ভালো মনে হচ্ছে।

এ বাজারে মানভেদে হিমসাগর প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। গুটি আম ৭০ থেকে ১০০ টাকা। আর প্রতি একশো লিচুর দাম ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানান, আমের বড় মোকাম হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর বানেশ্বর, নাটোরের স্টেশনবাজার, বাগাতিপাড়া ও বড়াইগ্রামের আহম্মদপুর এলাকার মোকামেই গোপালভোগ আম কম। আড়তে গোপালভোগ আম আসার কথা থাকলেও আমচাষিরা গাছ থেকে আম পাড়েননি। সেজন্য রাজধানীর মোকামেও সরবরাহ নেই খুব একটা।

কারওয়ানবাজার ফলের আড়তের এখলাসুর মিয়া বলেন, গোপালভোগ আম পাকতে শুরু করেছে। আমের মুকুল আসা থেকে শুরু করে কুঁড়ি হওয়া পর্যন্ত বৃষ্টিপাত ছিল না। ফলে আম পরিপক্ব হতে দেরি হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে এ আমের ভরপুর সরবরাহ থাকবে।

সেখানে রাজশাহীর এক চাষি বলেন, গত কয়েক বছরের আম পাকার হিসাব অনুসারে এবারও আম পাড়ার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেটা একটু আগাম হয়ে গেছে। আরও এক সপ্তাহ পরে আম পাওয়া যাবে। তার মধ্যে গাছে এবার আম খুব কম। দুদফা ঝড়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ফলন কমেছে।

অন্যদিকে, লিচুর মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর রাজশাহী ও দিনাজপুরে লিচুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। এ কারণে আমের বদলে রঙিন ও রসালো লিচুর আধিপত্য দেখা যাচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারেও।

কারওয়ানবাজারের আড়তে পাইকারিতে প্রতি একশো লিচু বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। যা খুচরায় বাজারভেদে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আড়তের বিক্রেতারা জানান, আর কিছুদিন পর বোম্বাই জাতের সু-স্বাদু লিচু আসবে। সেগুলো এখনকার লিচুর থেকে বেশ বড় এবং আকারে বিচি ছোট।

রাজধানীজুড়ে ফলের দোকানের পাশাপাশি রাস্তার পাশে ও ভ্যানে মৌসুমি ফল বিক্রি হতে দেখা গেছে। সেখানে অন্যান্য স্থানের চেয়ে দাম একটু কম। ওইসব দোকানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় একশো লিচু মিলছে। হিমসাগর আমও একশো টাকার কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি