বাংলাদেশে জ্বালানি তেল রফতানিতে ভারতের সম্মতি আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।এদিন নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেন।
শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে জ্বালানি তেল রফতানির জন্য ভারতের রাজনৈতিক সমর্থন ও সদিচ্ছা আছে। তারা এক্ষেত্রে আগ্রহী। তবে বাংলাদেশ ভারত থেকে গ্যাসও নিতে চাইবে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবে।ভারত বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে আরও বেশি বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান শাহরিয়ার আলম।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানোই সমাধান। সেই বার্তাটি বাংলাদেশ আবারও দিয়েছে ভারতকে।
এদিকে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ভারত বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ থেকে কোনও পণ্য ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে শুধু সড়ক ব্যবহার করা হয় এখন। পরবর্তীতে এই যোগাযোগটি রেল ও নৌ-পথে চালানোর বিষয়টিকেই বলা হচ্ছে, মাল্টিমোডাল ফরম্যাট।
এ ছাড়াও বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নিয়ে যারা কুৎসা রটাচ্ছে, যারা সমালোচনা করছেন তারা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বোঝেন না অথবা ইচ্ছাকৃত করছেন। তাদের ফাঁদে পা দেবে না আওয়ামী লীগ সরকারের মন্তব্য শাহরিয়ার আলম।