ষ্টাফ রিপোর্টার :
উচ্চমূল্যের বাজারে, পণ্য কিনতে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য কুষ্টিয়া সদর এন এস রোড ‘বক চত্বর থেকে বঙ্গবন্ধু মার্কেট’ পর্যন্ত শুক্রবারে ফুটপাত ঘেঁষে ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করে।
পৌরসভার সম্মতিক্রমে প্রতি শুক্রবার ব্যবসায়ীদের জন্য এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া র আশেপাশে গ্রাম এবং দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ভ্যান গাড়ি অথবা অটো রিক্সার মধ্যে পণ্য সামগ্রী রেখে বিক্রয় করেন।
এতে করে, নিম্ন আয়ের এবং মধ্য আয়ের মানুষেরা স্বল্প মূল্যে শিশু ও স্বজনদের জন্য পোশাক এবং ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, ট্রাউজার,স্যান্ডেলও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী কিনছেন।
বিভিন্ন মনোহারি দ্রব্য ও খেলনা কিনতে সক্ষম হচ্ছে।
বড় বড় দোকান, শপিংমল গুলো থেকে কেনা যাদের পক্ষে অসাধ্য এসব মানুষেরা স্বল্প মূল্যে গার্মেন্টস রিজেক্ট পন্য সামগ্রী ক্রয় করতে পারছেন।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা-এতে লাভবান হচ্ছেন, পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে এবং বেকারত্ব ঘোচাতে সক্ষম ।
ব্যবসায়ী রিপন বলেন- পৌরসভা প্রতিদিন ফুটপাতে বসে ব্যবসা করতে দেয় না।
প্রতি শুক্রবার আমাদের অনুমতি দিয়েছেন।
তারপরও যদি কোন সমস্যা হয় ভ্যান চালিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে পারছি।
শুক্রবারে মার্কেট বন্ধ থাকায় শহরে খুব কম লোক, গাড়ি, অটো রিক্সা প্রবেশ করে। সেখানে রাস্তায় জনগণের চলাফেরা কোন সমস্যা হয় না।
ব্যবসায়ীরা আরো জানান- পরিবারের সাত আট জন সদস্যর মুখে ভাত তুলে দিতে পারছেন।
প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত আটটা নয়টা পর্যন্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায় তারা লাভবান হন এবং
বেকার অবস্থা থেকে মুক্তি পান।
কিছু ব্যবসায়ী সপ্তাহের অন্য দিন যাদের দোকান আছে , শুক্রবারে তারা ও ফুটপাতে স্যান্ডেল বা স্বল্পমূল্যর জিনিস নিয়ে বিক্রয় করেন।
নিম্ন আয়ের মানুষগুলো পরিবারের জন্য এবং স্বল্পমূল্যে জিনিস কেনাকাটা করতে পারছেন।
সামনে ঈদ, আগে থেকে পরিবারের জন্য কিছু কিনতে পারছেন বলে, তারাও খুশি।
ছুটির দিনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা -আশা নিয়ে গ্রাম থেকে শুক্রবার শহরে ভ্যান অটো এবং বিভিন্ন রকমের চাকা ওয়ালা গাড়ি নিয়ে ছুটে আসেন। ভ্যান নিয়ে রাতে আবার বাড়িতে ফিরে যান।
প্রতিদিন দুই তিন হাজার টাকা আয় রোজগার করে ব্যবসায়ীরা পরিবারকে চালাতে সক্ষম হচ্ছেন।
কিছু যুবক দের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে।
You sent