খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এডিসি খন্দকার লাবণী ও তার সাবেক দেহরক্ষী মাগুরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের আত্মহত্যার ঘটনায় মাগুরা সদর থানা ও শ্রীপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাবনীর ভাই হাসনাতুন আজম বাদী হয়ে এবং মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনা দুটি আত্মহত্যা নিশ্চিত হতে দুজনের মোবাইল ফোন ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে এডিসি লাবনীর লাশ তার নিজ গ্রাম শ্রীপুর উপজেলার বরালিদাহ পারিবারিক কবরস্থানে এবং মাহমুদুল হাসানের লাশ কুষ্টিয়ার তার নিজ বাড়ি পিপুলবাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
খুলানায় কর্মরত অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার লাবণী আক্তার গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সানঙ্গদিয়া গ্রামে তাঁর নানাবাড়ির সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। ঘটনার দু’দিন আগে ছুটিতে তিনি মাগুরায় আসেন । তিনি বিসিএস ৩০ ব্যাচের কর্মকর্তা ছিলেন।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে মাগুরা পুলিশ লাইনসের চারতলা ভবনের ছাদে শটগানের গুলিতে আত্মহত্যা করে মাহমুদুল হাসান নামের কনস্টেবল। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন। এর আগে তিনি লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে খুলনায় কর্মরত ছিলেন।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, গত বুধবার রাত ১২টার দিকে নানার বাড়িতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার করেন কেএমপির এডিসি খন্দকার লাবণী আক্তার।
অন্যদিকে কনস্টেবল মাহমুদুলের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, মাহমুদুল ডিউটি শেষে ভোরে ব্যারাকে ফিরে ছাদে গিয়ে নিজ নামে ইস্যু করা শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। কী কারণে এ দুজন আত্মহত্যা করেছেন, তা জানা যায়নি। তবে এ আত্মহত্যা দুটির কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা পুলিশ গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে।