1. rashidarita21@gmail.com : bastobchitro :
তেল, পিয়াজ রসুনে নাভিশ্বাস | Bastob Chitro24
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন

তেল, পিয়াজ রসুনে নাভিশ্বাস

ঢাকা অফিস
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

দেশে নিত্যপণ্য নিয়ে চলছে নানা তেলেসমাতি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। বিক্রেতারা নানা অজুহাত দাঁড় করিয়ে দেদারছে বাড়াচ্ছে তেল, পিয়াজ, রসুন, মাংসসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম। আর এতে ভোক্তার সংসারে অতিরিক্ত ব্যয়ের টান। এতে করে কেউ কেউ ছাড়ছে নাভিশ্বাস। কেউ বা ক্ষোভ ঝাড়ছে। অন্য খাতে কাটছাঁট করে কোনো রকমে দিন পার করছে কেউ কেউ। বেশ কিছুদিন ধরেই তেল নিয়ে হইচই চলছে। দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে দাম। এর মধ্যেই আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো পিয়াজ আমদানি বন্ধের অজুহাতে রাতারাতি মসলাজাতীয় এই পণ্যটির দামও বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে রসুন ও ডিমের দাম। আদার বাজারেও লেগেছে এর ছোঁয়া। অন্যদিকে একদিনে বেড়েছে তরল দুধের দাম। কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা।
গতকাল সরজমিন রাজধানীর মাদারটেক, বাসাবো, খিলগাঁওসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাত্র এক-দুইদিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে দেশি রসুনের দাম। গত বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন দোকানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হওয়া রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। আর ১০০ টাকা বিক্রি হওয়া চায়না রসুনের দাম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। কয়েকদিন আগের আরেকটি মসলাজাতীয় পণ্য পিয়াজের দামও ছিল ৩০ টাকার মধ্যে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। আর পাইকারিতে পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে পাইকারদের দোষারোপ করে বেশি দাম দিয়ে কিনে আনার কথা জানান। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে ডিমের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন এক ডজন মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। তবে গত সপ্তাহেও ১০৫ থেকে ১১০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। আর হাঁসের ডিম ১৬০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে তেলের তেলেসমাতি কাণ্ডের রেশ এখনো চলছে। বর্তমানে সংকট কিছুটা কমলেও এক লিটারের বোতলজাত তেলের উপস্থিতি নেই। তাই বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের দুই লিটার ও পাঁচ লিটারের বোতল কিনতে হচ্ছে। নতুন দামে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা লিটার। আর খোলা সয়াবিন কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, কোম্পানির ডিলাররা এখন এক লিটারের বোতলজাত তেলের অর্ডার নিচ্ছেন না। কেবল দুই লিটার ও পাঁচ লিটার তেল বাজারজাত করছেন। যদিও বোতলজাত এক লিটার তেলের চাহিদাই এখন বেশি।
বাজারে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে আসা সাদেক হোসেন নামের এক ভোক্তা বলেন, এতদিন তেল নিয়ে ঝামেলা করে দাম বাড়িয়ে দিছে। এখন আবার পিয়াজ, রসুন নিয়ে শুরু করছে। এভাবে সবকিছুর দামই বাড়ছে। আমাদের ব্যয় এখন আগের চেয়ে অনেক বাড়ছে। শুধু খাদ্যের জন্য এত খরচ করে তো অন্য ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না। শাহিন আলম বলেন, বাজারে এলেই টাকা শেষ হয়ে যায়।
ঈদের আগে থেকেই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। বাজারে মুরগির দামও চড়া। এখন ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৯০ টাকা ও লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি।
দীর্ঘদিন ধরেই বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, নাজির ৭০ টাকা, আটাস ৫০ টাকা, মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা ও চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া দেশি মসুর ডাল ১৩০ টাকা, মোটা ডাল ১০০ টাকা, চিনি ৮০ টাকা, খোলা আটা ৩৫ টাকা, মরিচের গুঁড়া (২৫০ গ্রাম) ৭৫ টাকা ও হলুদের গুঁড়া (২৫০ গ্রাম) ৫০ টাকা, চায়না আদা কেজি ১০০ টাকা ও বার্মার আদা ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গ্রীষ্ম মৌসুমের পর্যাপ্ত সবজি সরবরাহ থাকলেও দাম অনেকটা বাড়তিই রয়েছে। এখন বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা ও আকারভেদে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সবজি বিক্রেতারা জানান, এই মৌসুমে সবজির দাম আরও কম থাকে।
বাজারে এখন মাঝারি আকারে ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৬০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চাপিলা ১০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও শোল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
প্রযুক্তি সহায়তায়: রিহোস্ট বিডি