এক ঘন্টা লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দিলেও বিদ্যুৎ বিভাগ তা রক্ষা করতে পারছে না। রাজধানী ঢাকাতেই কোথাও কোথাও নগরবাসীকে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থাতো আরও শোচনীয়। গ্রামে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পাঁচ-ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। এ অবস্থায় দেশের মানুষ তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
জ্বালানি সংকট ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির উল্লেখ করে সরকার বেশ ঘটা করেই বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের আগাম বার্তা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশে পুনরায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গত ১৮ জুলাই এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বলা হয়, দিনে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুতের লোডশেডিং হতে পারে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওইদিন সকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এ ঘোষণার সপ্তাহ না পেরুতেই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ পরিস্থিতি ভাল করার জন্য অর্থাৎ ঘোষণা অনুযায়ী লোডশেডিং রাখতে আরও ১০দিন সময় চেয়েছেন।
মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জুড়ে তৈরি হওয়া মন্দাভাব ঠেকাতে সরকারের সাশ্রয়ী নীতির অংশ হিসেবে সূচি করে লোডশেডিং দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। খরচ সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। কিন্তু লোডশেডিংয়ের সূচি সঠিকভাবে সমন্বয় করতে না পারায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।