কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় সাবু মিয়া নামের এক কৃষক হত্যার দায়ে দুজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চাঁপাইগাছি গ্রামের আজিম প্রামাণিকের ছেলে মো. বাপ্পি প্রামাণিক ও একই ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের গোলাপ সর্দ্দারের ছেলে আলামিন সর্দ্দার।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদেরকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মো. স্বপন মন্ডলের বড় ছেলে সাবু মিয়া বাড়ি থেকে চাঁপাইগাছি বাজারের উদ্দেশ্যে তার ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে বের হন। পরবর্তীতে সাবু রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ তাকে পাওয়া না গেলে। পরের দিন সকালে একই ইউনিয়নের চাঁপাইগাছি গ্রামের কাদের বিশ্বাসের কলা বাগানে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর শুনে নিহত সাবুর বাবা মো. স্বপন মন্ডল, সাবুর স্ত্রী ও মেয়ে মোছা. শাপলা খাতুন এবং প্রতিবেশিরা গিয়ে সাবুর লাশ শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় নিহত সাবু মিয়ার বাবা মো. স্বপন মন্ডল বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মো. বাপ্পি প্রামাণিক ও আলামিন সর্দ্দারের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে সোমবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।